যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান সাংবাদিক ও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময়কালে বলেছেন, একাত্তুরের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। স্বাধীনতার পঞ্চশ বছরে দেশে অনেক উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা বিদেশীদের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের ভাবমর্যাদা তুলে ধরতে হবে। এজন্য সকল প্রবাসীকে দলমতের উর্ধ্বে এক একজন অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
গত শনিবার বিকেলে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আয়োজিত পৃথক পৃথক মতবিনিময় সভায় রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান উপরোক্ত আহ্বান জানান। গত সেপ্টেম্বরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হওয়ার পর সাংবাদিক ও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে এটাই প্রথম মতবিনিময়। এর আগে রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন মানি ট্রান্সমিটার প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং প্রেসিডেন্টদের সাথে কনস্যুলেটে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি বৈধ পথে প্রবাসীদের দেশে বেশি বেশি অর্থ প্রেরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং কনস্যুলেট বা দূতাবাসের করণীয় সম্পর্কে মতামত গ্রহণ করেন।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) এ জেড এম সাজ্জাদ হোসাইন, জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে নিযুক্ত মিনিস্টার (প্রেস) নূর-এ ইলাহী মিনা ও সোনালী এক্সচেঞ্জ ইনক’র প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবশ্রী মিত্র উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান পরিচিত হন এবং উপস্থিত বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় প্রবাসীদের ভোটাধিকার, এনআইডি, দৈত নাগরিকত্ব প্রাপ্তি সহজীকরণ, বৈধভাবে রেমিটেন্স প্রেরণ এবং হুন্ডির মাধ্যমে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার প্রভৃতি বিষয় আলোচনায় স্থান পায়। রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন প্রশ্নে সরকার ও দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, তার দূতাবাসের দরজা সকল প্রবাসীর জন্য খোলা। পাশাপাশি দেশের ভাবমর্যাদা বিদেশীদের কাছে তুলে ধরার জন্য তিনি দলমত নির্বিশেষে প্রবাসীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন