শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

কর্মমুখী শিক্ষা চাই

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

স্বাধীনতার ৫১ বছরের বাংলাদেশে বেড়েছে জনসংখ্যা। দেশে প্রতিবছর বাড়ছে গড় আয়ু, বাড়ছে মাথাপিছু আয়, বাড়ছে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির হার। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্বের হার। যা দেশের উন্নয়নের পথ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বেকারত্বের অভিশাপে হতাশায় আছন্ন তরুণ-তরুণীরা। কেউ হতাশা থেকে মুক্তি পেতে মাদকাসক্ত হচ্ছে, আবার কেউ বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তির আশায় আত্মহত্যার মত ঘৃণিত পথও বেছে নিচ্ছে। আমাদের দেশে প্রতিটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় ৫ থেকে ৬ বছর বয়সে। আর একাডেমিক শিক্ষাজীবন শেষ হয় ২৫ থেকে ২৬ বছর বয়সে। এই দীর্ঘ শিক্ষাজীবনে হাতে কলমে শেখানো হয় না কর্মমুখী শিক্ষা। ফলে শিক্ষার্থীরা যখন সরকারি কিংবা বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিতে যায়, তখন তারা দেখতে পায় চাকরির বিজ্ঞাপনে লেখা আছে, ৩ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। তখন বেকাররা আরও বেশি দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে এত বছরের শিক্ষীজীবনের মূল্য কোথায়? অতএব, সময় এসেছে মুখস্ত বিদ্যার মাধ্যমে সনদ অর্জন নামক শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করে কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেয়ার। তাহলেই ছাত্র জীবনের অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে কর্ম জীবনে প্রয়োগ করে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে শিক্ষার্থীরা।

মরিয়ম জাহান সেতু
শিক্ষার্থী, সৈয়দ আশরাফ পৌর মহিলা কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন