নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কিশোরী হত্যা মামলার রায়ে স্বপন গাজী ও তার স্ত্রী আখি আক্তার তমাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা করে দুজনকে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩মাস করে কারাদন্ড ভোগের রায় দেয়া হয়।
একই মামলায় আদালত অবৈধ ভাবে দেহ ব্যবসার আরেকটি আইনে স্বামী স্ত্রী দুজনকে ৫বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাজতন দমন ট্রাইবুয্যনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষনা করেন। এরআগে আসামীরা গ্রেফতার হয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপন করেছে।
সাজাপ্রাপ্ত স্বপন গাজী (৩৬) পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার পাঁচদনীয়া গাজী বাড়ির আব্দুল মজিদ ওরফে মান্নানের ছেলে। সে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় পাইলট স্কুল সংলগ্ন রাসেল মিয়ার বাড়িতে স্ত্রী আখি আক্তার তমাকে (৩০) নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় বাড়িওয়ালা রাসেল ও তার স্ত্রী সাবিনা কান্নাকাটির শব্দ শুনে ভাড়াটিয়া স্বপন গাজীর রুমে যায়। সেখানে গিয়ে দেখেন স্বপন ও তার স্ত্রী আখি কান্নাকাটি করছে। তাদের কথাবার্তা সন্ধেহ হলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের কাছ থেকে জানতে পারেন ভায়রার মেয়ে পরিচয় দেয়া মর্জিনা আক্তারকে (১৬) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে স্বপন। এ হত্যায় সহযোগীতা করেন তার স্ত্রী আখি। এসময় পুলিশ তাদের ঘর থেকে নূর জাহান ও নূরুন্নাহার নামে আরো দুজন তরুনীকে উদ্ধার করে। স্বপন গাজী ও তার স্ত্রী আখি তরুনীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বাসায় এনে অবৈধ ভাবে দেহ ব্যবসা করায়। এঘটনায় বাড়িওয়ালা রাসেল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আদালত সাক্ষ্য প্রমান গ্রহন করে রায় ঘোষনা করেছেন।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন