সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একাধিকবার নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীকে উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক করায় নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৪/১১/২২ ইং তারিখে জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল বাহার ও যুগ্ন আহবায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা মীর শহীদুল ইসলাম ( গামছা শহিদ) কে আহবায়ক ও মোঃ নুরুল ইসলাম রাঙ্গাকে যুগ্ন আহবায়ক করে তাড়াশ উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশের পর উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মিদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল শেখ বলেন বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। সে আমার সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়। বিদ্রোহী কোন নেতাকে দলের কোন পদে রাখা যাবেনা দলীয় এমন সিদ্ধান্ত থাকার পরেও সে কিভাবে আহবায়ক হলো আমাদের বোধগোম্য নয়। সে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পোষ্টারে ‘দল নয়, সৎ ও যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দিন’ লিখে প্রচার চালিয়েছে। উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন খান বলেন, মীর শহিদুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে বহিস্কার করে মাইকিং করা হয়। দলের বিদ্রোহী এবং বহিস্কৃত ব্যাক্তি এমন পদে আসাকে আমরা মেনে নিতে পারিনা। এ বিষয়ে জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক মোঃ ইকবাল বাহার জানান, আমি নতুন দ্বায়িত্ব পেয়েছি। মীর শহিদুল ইসলামের ব্যাপারে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন