নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশনের বন্দরে ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুরের মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুলকে প্রধান আসামী করে মামলা হয়েছে। এতে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় মুকুল ছাড়াও বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সাংগঠনিক সম্পাদক নূর মুহাম্মদ পনেছ, মুকুলের ভাই মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান দুলালকে আসামী করা হয়েছে।
মো. সোহেল নামের ছাত্রলীগ নেতা ওই মামলাটি বন্দর থানায় শনিবার ১৯ নভেম্বর দায়ের করেন। মামলায় ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ করে ভাঙচুর, মারপিট, সাধারণ জখম, অফিস কক্ষ অগ্নিসংযোগ, হুমকি, সোহেলকে মারধর, মোবাইল লুট ও ৫০ হাজার টাকা লুটের নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে নূর মোঃ পনেছ, সজিব, আজহারুল ইসলাম বুলবুল, রাজিবকে।
এর আগে ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. আঙ্গুর জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা দিকে বন্দর কবিলামোড়ে প্রধান সড়কের পাশে ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের কার্যালয়ে রিক্সাযোগে তিনজন মুখোশধারী প্রবেশ করে। তারা কার্যালয়ে থাকা চেয়ার ভাঙ্গে ও দলীয় ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলে। এ সংবাদে এলাকা কয়েকজন এগিয়ে আসলে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
বন্দর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এই বিষয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল বলেন, 'আমাদের কি সাহস আছে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করবো? এটা কেউ বিশ্বাস করবে? ওরা নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদের উপর দোষ দেয়। আমাদের নামে মামলা দেয়ার জন্যেই এই কাজ করে। সারাদেশেই ভাঙচুর জ্বালাও পোড়াও করে বিএনপির নামে দোষ দেয়া হচ্ছে। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন