বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জাকির খানের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (২০ নভেম্বর) সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবান তহুরা এ আদেশ দেন।
এর আগে সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে জাকির খানকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তার কর্মী ও সর্মথকরা জাকির খানের মুক্তি চাইসহ বিভিন্ন স্লোগানে আদালত মুখরিত করে তুলে। পরে তাদেরকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয়।
জামিন না মঞ্জুরের সত্যতা নিশ্চিত করে আসামী পক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এড. সরকার হুমায়ুন কবির বলেন, জাকির খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু কোনো সাক্ষী আসেনি। এর আগেও অনেকবার সাক্ষীরা আদালতে অনুপস্থিত ছিল।
যেহেতু সাক্ষীরা আসেনি তাই আমরা আদালতের কাছে জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত আমাদের জামিন নামঞ্জুর করে পরবর্তীতে বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। তার পরবর্তী তারিখ ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিআরটিসির তৎকালীন চেয়ারম্যান তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। এ হত্যাকান্ডে জাকির খানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তৈমূর আলম খন্দকার।
এরপর জাকির খান নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পাড়ি জমায় থাইল্যান্ডে। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে আসেন। গত ২ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঢাকার ভাটারা থানার বসুন্ধরা এলাকা হতে বিদেশি পিস্তলসহ জাকির খানকে গ্রেপ্তার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন