যশোর স্টেডিয়ামে ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পঞ্চাশ বছর আগে। সেই দিনের ঐতিহাসিক জনসভায় মানুষের ঢল নেমেছিল। সেই একই মাঠে আগামি ২৪ নভেম্বর জনসভায় ভাষণ দিবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যশোর জেলা আওয়ামী লীগ এই জনসভায় ৮লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তোড়জোড় শুরু করেছে। জনসভা ঘিরে চাঙ্গা হয়েছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল। ইতোমধ্যে জেলার ৮ উপজেলা, ৮টি পৌরসভা ও ৯৩টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গণসংযোগ করছেন জনসভা সফল করার জন্য। সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, দাবি দলটির নেতাদের। একই সাথে জনসভা সফল করতে ৯টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যশোর স্টেডিয়ামের জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। একই স্টেডিয়ামে ৫০ বছর পর আগামি ২৪ নভেম্বর জনসভায় ভাষণ দিবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এই জনসভায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনগুলোর প্রত্যেকটি ইউনিট। ইতোমধ্যে যশোর শামস উল হুদা স্টেডিয়ামের নতুনরুপে সাজসজ্জার কাজ শুরু হয়েছে। স্টেডিয়ামের উত্তরপাশের জীর্ণ গ্যালারি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে স্টেডিয়াম ও ডা. আবদুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ মাঠ একাকার হয়েছে। বিশাল মাঠে ব্যাপক জনসমাগম ঘটাতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জনসভা সফল করার লক্ষ্যে সাংগঠনিক নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। প্রত্যেকটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা তৃণমূলে জনসংযোগ করছেন। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও সফলতার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। একই সঙ্গে জনসভায় হাজির হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। এবিষয়ে চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও সুখপুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হবিবর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। জনসভা সফল করতে গ্রামে গ্রামে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছি।
এ বিষয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য অমিত কুমার বসু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আশাবাদী।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম বলেন, নেতাদের মধ্যে গ্রুপিং, দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। আগের দিনই নেতাকর্মীরা শুকনা খাবার সঙ্গে নিয়ে জনসভাস্থলে হাজির হবে। তারা নেত্রীকে খুব কাছ থেকে দেখতে চায়। জনসভায় সাধারণ মানুষের বাধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস দেখতে পারবেন। আমরা প্রত্যেকটি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করছি। মানুষকে আমরা দাওয়াত দেয়ার আগেই আমাদেরকে বলছে কখন আসবে সেই মুহূর্তটি।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, করোনা পরিস্থিতির আড়াই বছর পর যশোরে প্রথম জনসভায় ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাগম হবে এই জনসভায়। জনসভায় সফল ও সার্থক করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
এ প্রসঙ্গে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মজিদ বলেন, নৌকার আদলে মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার এই ঐতিহাসিক জনসভায় ৮ লক্ষ মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত জেলা আওয়ামী লীগ কাজ করছে। আশা করি জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন