ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার রাজবাড়ী মহিলা দলের নেত্রী সোনিয়া আক্তার ওরফে স্মৃতি আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ী আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী এ্যাড. নেকবার হোসেন মনি। তিনি বলেন, রাজবাড়ীর আদালতে ধার্য্য তারিখে হাজিরার জন্য স্মৃতিকে আনা হয়। তার উপস্থিতি দেখে লোকজনের ভীড় বাড়ে। পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় দ্রুত তাকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যায়।
গ্রেপ্তার সোনিয়া আক্তার স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জেলা মহিলা দলের সদস্য। সোনিয়া রাজবাড়ী শহরের ৩ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করেন। তাকে গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সোনিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে গতকাল বুধবার বিকেলে সোনিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রাজবাড়ী সদর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সামসুল আরেফিন চৌধুরী রাজবাড়ী জেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য সচিব ও মিজানপুর ইউপি আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক । গত ৩১ আগস্ট দুপুরে তিনি তার নিজস্ব আইডি দিয়ে ফেসবুক চালানোর সময় 'Sonya akter smrity নামের একটি আইডিতে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি ও গুজবমূলক পোষ্ট দেখতে পান। এতে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দল সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মাঝে বিদ্বেষ সৃষ্টি করেছে। এ পোস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেনীর জনসাধারনের মাধ্যমে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে সোনিয়া আক্তার স্মৃতি। যে কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে মামলা করেছেন সামসুল আরেফিন চৌধুরী।
মামলার বাদী সামসুল আরেফিন চৌধুরী বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিনে সোনিয়া আক্তার স্মৃতি তার ফেসবুক আইডি থেকে শুভ জন্মদিন প্রিয় লিখে একটি সাপের ছবি পোষ্ট করেন। তখন তিনি তার প্রোফাইল ঘেটে দেখেন গত ৩১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কুটক্তি করে আরেকটি পোস্ট দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠকর্মী হিসাবে এ পোস্ট তাকে ব্যাথিত করেছে। যার কারণে গত ৩ অক্টোবর রাজবাড়ী সদর থানায় সোনিয়া আক্তার স্মৃতির নামে এজাহার দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে ৪ অক্টোবর রাতে গ্রেপ্তার করেছেন।
রাজবাড়ী আদালতে স্মৃতির জামিন না মঞ্জুর হলে হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করে। পরে জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপীল করায় জামিন বাতিল হয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন