নাটোরের বাগাতিপাড়ায় তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জল মটর (সাব মার্সেবল পাম্প) চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক জি.ডি করা হয়। জানা গেছে, উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের তকিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যা নিকেতন’র জল মটর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চুরি হয়। ২০ নভেম্বর বাগাতিপাড়া সদর ইউনিয়নের বটতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২২ মার্চ জামনগর ইউনিয়নের চক বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জল মটর চুরি হয়। উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে জিপিএস এবং এনএনজিপিএস প্রকল্পের অধীনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসব সাব মার্সেবল পাম্প স্থাপন করা হয়। নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আলী কনস্ট্রাকশন এর কার্যাদেশ পায়। এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিনটি বিদ্যালয়সহ মোট ৫টি জল মটর চুরির খবর পেয়ে,বিষয়টি উর্দ্ধতনকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাগাতিপাড়ার পাঁচ শিক্ষার্থীর উদ্ভাবন
সহযোগীতা পেলে সাশ্রয়ী মূল্যে উৎপাদন হবে বিদ্যুৎ
আতিয়ার রহমান,বাগাতিপাড়া (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা:
নাটোরের বাগাতিপাড়ার কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজের ৫ শিক্ষার্থী সাশ্রয়ী মূল্যে সমুদ্রের পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এই উদ্ভাবনের ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ মাত্র এক টাকা মূল্যে গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হবে। ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বুধবার বিজ্ঞান মেলায় তাদের এই প্রযুক্তি প্রদর্শন করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল এই মেলার উদ্বোধন করেন। প্রযুক্তির উদ্ভাবক আসিফ অভি জানান, তারা একই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ৫ শিক্ষার্থী। বিদ্যুতের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তারা এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে নেমে পড়েন। তার সহযোগীরা হলেন ইশরাত জাহান মিতু, নূরে জান্নাত নূরি, আনিস হোসেন নিরব, আসিফ প্রামাণিক। অভি জানান, তাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে সমুদ্র জলকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সোডিয়ান হাইড্রোক্লোরাইড উৎপন্ন করা হবে। তা থেকে হাইড্রোজেনকে পৃথক করা হলে তা থেকে ২৭’শ ডিগ্রি সেন্ট্রিগেড তাপমাত্রা উৎপন্ন হবে। যা বাষ্পীভূত করে চাপের সৃষ্টি করে ওই চাপে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে, যা উৎপাদনে সবচেয়ে কম খরচ হবে। তারা তাদের এই প্রযুক্তির নাম দিয়েছেন ‘টেকসই সমুদ্র জলশক্তি’ প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে তার কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক তারেক ইকবাল, পদার্থ শিক্ষক গোলাম রব্বানী এবং আইসিটি শিক্ষক অসীম কুমার পাল সহযোগিতা করেছেন। সরকারি ভাবে সহযোগীতার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান, ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) সুরাইয়া মমতাজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন