তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে গণমুখী ও অবৈতনিক করেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে গণমুখী এবং অবৈতনিক করার পাশাপাশি বিজ্ঞানমনস্ক ও সোনার বাংলা গড়ার হাতিয়ার এবং সোনার মানুষ গড়ে তোলার জন্য একটি শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করতে চেয়েছিলেন। তিনি সেই শিক্ষা নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন একজন বিজ্ঞানী ড. কুদরাত-এ-খুদাকে যাতে বাংলাদেশের প্রতিটি সোনার সন্তান বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ হয় এবং তারা যেন সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারে।
পলক আজ অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’র স্থায়ী ক্যাম্পাসে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করার জন্য শিক্ষাকে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পবিত্র সংবিধানে ৭২ এর ৪ নভেম্বর অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা- এই পাঁচটি মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত করে রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধু আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে তার দূরদর্শিতা দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন যে, একটি রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য যদি পাঁচটা মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা যায়, তবে সেই রাষ্ট্র একটি আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। ৫০ বছর পর জাতিসংঘ এসডিজি লক্ষ্য যারা নির্বাচন করেছেন তারা বঙ্গবন্ধুর সেই কোর ফিলোসোফিকে অনুসরণ করেছেন এবং বর্তমানে বিশ্বের ২শ’ রাষ্ট্র যে উদ্দেশ্য অর্জন নিয়ে কাজ করছে, বঙ্গবন্ধু ৫০ বছর আগেই পবিত্র সংবিধানে সেই দর্শন রেখে গেছেন।
শিক্ষার্থীদের আইসিটি ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন ও দক্ষ মানুষ হওয়ার আহবান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে স্মার্ট উদ্যোক্তা তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন