বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ফরিদপুর খাদ্যবিভাগে তোলপাড়

ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর

আনোয়ার জাহিদ, ফরিদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০২ এএম

ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর ফরিদপুর খাদ্যবিভাগে তোলপাড় দুটি তদন্ত গঠন করা হয়েছে। তারপরও ঘটেছে চোরের উপর বাটপারি। গুদাম সীলগালা, চুরির পরিমাণ সনাক্ত হবে তো? এটাই জেলাবাসীর প্রশ্ন তদন্তকারীদের কাছে। গতকাল বিকেলে ২য় দফা তদন্ত করে তদন্ত কমিটি। পরে চরভদ্রাসন খাদ্যগুদামটি সীলগালা করেছেন বলে গণমাধ্যম নিশ্চিত করছেন ফরিদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)। অব্যাহতভাবে চলমান ফরিদপুর খাদ্য বিভাগে ব্যাপক অনিয়ম। এই নিয়মের বিষয় গত ১৪ নভেম্বর জনপ্রিয় জাতীয় ‘দৈনিক ইনকিলাবে’ চরভদ্রাসন খাদ্যগুদামের ৩০০ টন চাল ধান উধাও’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশে পুরো খাদ্যবিভাগে শুরু হয় ব্যাপক তোলপাড়। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ১৭ নভেম্বর মাদারীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) কে তদন্ত কমিটির প্রধান করে ১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়। তার সাথে ছিলেন ফরিদপুর ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. তারেকুজ্জামান, চরভদ্রাসনের সাবেক টিসিএফ মো. হারুন অর রশিদ, ট্যাকনিক্যাল ইন্সপেক্টর, প্রবীর কীর্তনীয়া। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা। চরভদ্রাসন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্যকর্মকর্তার অনিয়ম এবং আত্মাসৎ এর বিষয় তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্তপূর্বক কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে, কুল ও মান রক্ষার্থে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা মো. সানোয়ারকে গুদাম থেকে সরকারে খোয়া যাওয়া চাল এবং ধান সমন্বয় করার জন্য গত ১৮ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ৫ দিন সময়ের মৌখিক নির্দেশ দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। উপরন্ত অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানোয়ার উল্লেখিত, পরিমাণ চাল ধান গুদামে মজুদ সমন্বয় না করে চরভদ্রাসন এলএসডির অনুকূলে ভারত থেকে আমদানি করা এলসির আর ৩৭ মে.টন চাল ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার সরকারি সম্পদ পুনরায় আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠছে। এ নিয়ে তার মোট আত্মাসাৎ করা চালের পরিমাণ দারালো প্রায় ৩৩৭ টন চাল। তাতে তিনি প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার সরকারি সম্পদ গিলে খাওয়ার অভিযোগ উঠলো। উপরন্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানোয়ার, মিলার খলিল এবং গার্ড রফিকের সহযোগীতায়, তদন্ত চলাকালীন অবস্থায় আরো ৩৭ মে. টন চাল তথা প্রতি কেজি চাল ৫০ টাকা দরে বিক্রি করে আরো ১৮ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা সানোয়ার পকেটস্থ করছেন বলে আবারো অভিযোগ উঠছে। প্রশ্ন উঠছে প্রথম তদন্তের দিন যদি গুদামটি সীল করা হতো তা হলো ঐ গুদাম থেকে বাড়তি ৩৭ মে. টন চাল পুনরায় চুরি হতো না।

কথা উঠছে পরপর দুটি তদন্ত হলো, চুরি ঠেকাতে নাকি চুরির সুযোগে করে দিতে?
জানা গেল, ৩৭ মে. টন চালের মধ্যে প্রায় ১৭ মে. টন চাল বোয়ালমারীর ভারপ্রাপ্ত খাদ্যকর্মকর্তার কাছে বিক্রি করা হয় বলে চরভদ্রাসন থেকে জানা যায়। চরভদ্রাসন এলএসডির অনুকূলে আমদানি করা এলসির ২০০ মে. টন চালের মধ্যে, খুলনা ঘাট থেকে চরভদ্রাসন গুদামে না এসে এক ট্রাক চাল সরাসরি বোয়ালমারী এলএসডিতে নিম্ন নম্বরের ট্রাকটি খুলনা থেকে আগত হওয়া এলইউতে (বোঝাই খালাশ) বইতে লিপিবদ্ধ সহ সিসি ক্যামেরার ফুটেজই তার প্রমাণ রয়েছে।
ফরিদপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বললে তিনি ইনকিলাবকে জানান, গত ২৩ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর সারাদিন ঢাকা ও মাদারীপুরের তদন্তকারী দল ২ দিন সরেজমিন তদন্ত করে গুদাম সীল করেছেন। আগামী রোববার এই কমিটি রিপোর্ট দিবেন সরকারের কি পরিমাণ মালের সটেজ আছে। এর পরবর্তী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন