বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন দেশ,জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে আওয়ামী লীগের উচিত একগুঁয়েমি পরিহার করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গণদাবী মেনে নিয়ে পদত্যাগ করা। অন্যথায় পরিণতির জন্য তাদেরকেই দায়ী থাকতে হবে। তিনি আজ সকালে ময়মনসিংহে ব্রাহ্মপুত্র নদের উজান কাশিয়ার চরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ধান ও রবিশস্যের বীজ,সারসহ কৃষিপণ্য এবং ছাগল,মুরগী বিতরণকালে এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ্যাগ্রিকালচারিস্টস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) দোয়া,আলোচনা এবং কৃষকদের মাঝে সার,বীজ,ছাগল,মুরগী বিতরণের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্রের নামে ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। নির্বাচনের নামে প্রহসন সৃস্টি করে
ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।দুর্ণীতি, লুটপাট করে দেশের অর্থনৈতি লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সরকার। ব্যাংকে ডলার নাই,টাকা নাই,ব্যাবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছেনা, বিদেশে অধ্যায়নরত ছাত্রদেরকেও ডলার পাঠানো যাচ্ছে না।এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও ক্ষমতাসীনদের লুটপাট থেমে নেই। বেনামে,ভূয়া কোম্পানি বানিয়ে ব্যাংক থেকে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে। অভাবের তাড়নায় গ্রাম,শহরে চুরি ডাকাতি যেমন বেড়ে গেছে,তেমনি ক্ষমতাসীনরা ছল চাতুরী করে ব্যাংকে গচ্ছিত জনগনের টাকা ডাকাতি করছে। প্রধানমন্ত্রী ঘরে চুরির ভয়ে টাকা না রেখে ব্যাংকে রাখতে বলেছেন,কিন্তু সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট
ব্যাংক ডাকাতদের আটকাতে পারছেন না।
চোর ডাকাত ঘরে, ব্যাংকে,রাস্তায়,অফিসে,ভোট কেন্দ্রে সব জায়গায়।দেশ আজ চোর ডাকাতদের কবলে।
অনুষ্ঠানে এমরান সালেহ প্রিন্স আরও বলেন, সরকারের ব্যর্থতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটে নিপতিত জনগণ অর্ধাহারে,অনাহারে দিশেহারা। এই দুঃসহ পরিস্থিতিতে সরকার লিপ সার্ভিস ছাড়া কিছুই করছে না। সরকার নিজেদের ব্যার্থতা,দুর্ণীতি, লুটপাট আড়াল করতে মিথ্যাচার এবং আবারও নিজেদের অধীনে প্রহসনের নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে। জনগণের কাছে এই সরকারের গ্রহনযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা,জনপ্রিয়তা তলানীতে ঠেকেছে। সরকার এতটাই আস্থাহীনতায় ভূগছে যে,প্রকাশ্যে হাত তুলে ওয়াদা করাতে হচ্ছে তাদেরকে ভোট দেয়ার জন্য। তাদের ওয়াদাবদ্ধ হবার আহ্বানে জনগণ দূরের কথা, তাদের নেতাকর্মীরাও সাড়া দিচ্ছে না। তিনি চলমান আন্দোলনে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,সরকার দাবী না মানলে গণ অভূত্থানে সরকারের পতন ঘটানো হবে। তিনি জনদুর্ভোগ সৃস্টিকারী সরকারকে হটাতে জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাবের সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও কৃষিপণ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, বিএনপির ময়মনসিংহ উত্তর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, এ্যাবের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন,সদস্য সচিব কৃষিবিদ অধ্যাপক ড.জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষিবিদ ড.শফিকুল ইসলাম,কৃষিবিদ নূরন্নবী ভূইয়া শ্যামল,কৃষিবিদ হেলাল উদ্দিন, কৃষিবিদ আবুল খায়ের দীপু,কৃষিবিদ সারোয়ার হোসেন,কৃষিবিদ মাহবুবুর রশিদ,কৃষিবিদ এয়ার মাহমুদ,কৃষিবিদ জসিম উদ্দিন জনি,কৃষিবিদ সবুর, কৃষিবিদ মনির আহমেদ,কৃষিবিদ শাহাদাত পারভেজ,কৃষিবিদ মাহবুবুর রহমান মুন্না,কৃষিবিদ মাহবুবুল আলম টোরন,কৃষিবিদ রফিক, অধ্যাপক ড.আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক ড.শহীদুল হক,অধ্যাপক
ড. রুহুল আমিন, অধ্যাপক খায়রুল হাসান ভূইয়া,
অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম বাদল,অধ্যাপক ড.মনির, অধ্যাপক ড.কাফি,অধ্যাপক ড. মো.ইলিয়াস, অধ্যাপক ড. আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক
তোফাজ্জল হোসেন,অধ্যাপক মুরাদ হোসেন, অধ্যাপক আলী হোসেন, কৃষিবিদ আহসান হাবিব প্রান্ত, কৃষিবিদ দীপা,কৃষিবিদ সোহেল বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন