হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ধামরাই উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ভাড়ারিয়া এলাকায় মেসার্স এইচ এম বি ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছেন। সেইসাথে ভাটার মালিককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।
গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৮টি ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেইসাথে ২টি ভাটার মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপরদিকে অবৈধভাবে চুল্লীতে গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করার অপরাধে একজনকে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা ও তিন মালিকের ১৫টি চুল্লী ভেকু দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী।
জানা গেছে, ধামরাইসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছ কেটে এনে বিশেষ কায়দায় তৈরিকৃত চুল্লির ভেতরে গাছের ছোট ছোট গুড়ি দিয়ে তা পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছিল কয়লা। উপজেলার বাইশা কান্দা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে এমনি দুইটি কারখানার চালানো হয়েছিল।
লোকালয়ে, বসত বাড়ির সন্নিকটকে দুইটি স্থানে ৯টি চুল্লিতে চলছিল এই সব অবৈধ কয়লা তৈরির কারখানা। বিভিন্ন গাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ সংগ্রহ করে চুল্লিতে পুড়িয়ে উৎপাদিত হচ্ছিল এসব কয়লা। এতে যেভাবে বৃক্ষনিধন হচ্ছে সাথে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এমন সংবাদ পাওয়ার পরে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য যে উপজেলায় প্রায় শতাধিক ইটভাটার বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। এলাকার মানুষদের জিম্মি করে এসব ইটভাটা চালাচ্ছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন