আধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র, লাইসেন্স প্রাপ্তি, কয়লাসঙ্কট সমাধান ও ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা পরিবর্তন-সংযোজন করে যুগোপযোগী করার দাবি জানিয়ে কুমিল্লায় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন শেষে ক্লাব প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে একই দাবিতে সমিতির নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রেরণ করেন। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি কুমিল্লা শাখার সভাপতি এমরানুর রহমান ভুইয়া, সহসভাপতি মো. ইয়াছিন, জয়নাল আবেদীন, আবদুল হাই বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন ভ‚ঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক আহমেদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক এমএ কাইয়ুম ভুঁইয়া, অর্থ সম্পাদক আবদুল মতিন, মোস্তফা কামাল চৌধুরী, জিএস মান্নান মোল্লাসহ সমিতির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ২০১০ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ১২০ ফুট উচ্চতার চিমনীর পরিবর্তে জিগজ্যাগ, হাইব্রিড হফম্যান কিলন, ভ্যাটিক্যাল শ্যাফট্ কিলন, ট্যানেল ইত্যাদি প্রযুক্তির ভাটায় রুপান্তরিত করার নির্দেশ দেয়া হয়। জিগজ্যাগ ভাটা জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় উপমহাদেশে টেকসই ও সহজ প্রযুক্তি হিসেবে পরিচিত। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে প্রায় ৯৮ ভাগ ইটভাটা জিগজ্যাগ প্রযুক্তিতে রুপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনে জিগজ্যাগ ভাটা বৈধ পদ্ধতির উল্লেখ থাকলেও ২০১৯ সালে উক্ত আইনে দূরত্ব নির্দিষ্টকরণের কারণে দেশের অধিকাংশ জিগজ্যাগ ইটভাটা অবৈধ হয়ে পড়ে এবং মালিকগণ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। এতে ভাটা মালিকগণ বিপুল পরিমাণ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করেও হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।
এছাড়া ইট পোড়ানোর প্রধান উপাদান সম্পূর্ণ আমদানী নির্ভর জ্বালানি (কয়লা) অতি মুনাফালোভী আমদানীকারকরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রয় করায় ভাটা মালিকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এসব ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন