ভোলার দৌলতখানে বহুল আলোচিত নোমানের মৃত্যু নিয়ে উপজেলার সর্বত্র তোলপাড় চলছে। নিখোঁজের ৩ দিন পর আজ রবিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে দৌলতখান থানা পুলিশ পৌরসভার পাতার খাল মাছঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে নোমানের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাছঘাটের শ্রমিক নোমান নদী তীরে তাস খেলার সময় পুলিশ তাকে ধাওয়া করে। এসময় ভয়ে নোমান নদীতে ঝাঁপ দিলে পুলিশ তীর থেকে পাথর ছোঁড়ে। এতে নোমান মেঘনার স্রোতে তলিয়ে যায়। এঘটনায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে ক্লোজড ও দুই কনেস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নিখোঁজের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকরা নোমানের বাড়ি গেলে স্ত্রী নাসরিন আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, যেই পুলিশ আমার স্বামীকে মেরেছে আমি তার বিচার চাই। সেই পুলিশের ফাঁসি চাই।
পুলিশের এমন নির্দয় ঘটনা পত্রিকায় প্রকাশ হলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবু ওবায়েদ মো. ইমাম ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. মহিবুল্যাহ খোকন, মো. আসাদুজ্জামান আসাদ এবং হাবিবুল্যাহ রোকন বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মহা পুলিশ পরির্দশক ও জেলা প্রশাসক ভোলা বরাবরে রবিবার একটি অনুলিপি প্রেরণ করেছে।
অপরদিকে দৌলতখান থানার ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, নোমানের মৃত্যুর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মো. জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন