টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় দ্বীপবাসী ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমিতি। গতকাল রোববার দুপুরে সেন্টমার্টিন বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ দ্রুত চালু করা না হলে আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে সেন্টমার্টিনের সকল আবাসিক হোটেল-রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, দোকানপাটসহ যানচলাচল বন্ধ থাকবে বলেও ঘোষণা দেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, দ্বীপের ৯০ শতাংশ মানুষ পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। বছরে মাত্র ৪ মাস পর্যটন ব্যবসা করে যে আয় হয় সেটি দিয়ে বাকি সময় অতিবাহিত করতে হয় তাদের। এখন নাব্যতা সঙ্কটের অজুহাতে টেকনাফ রুট থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ করায় পর্যটক সীমিত হয়ে গেছে দ্বীপে। ফলে আয় রোজগার কমে গেছে এখানকার মানুষের। এই অবস্থা চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে দ্বীপে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে বলে জানান তারা।
সেন্টমার্টিন হোটেল রিসোর্ট মালিক এসোসিয়েশন সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, টেকনাফ থেকে জাহাজ চালু না হওয়ার জন্যে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। তারা নাব্যতা সঙ্কটের বাহানা দিয়ে নিজেদের একচেটিয়া বিজনেস পরিচালনা করতে চায়। এবং কিছু পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে গলাটিপে মেরে ফেলার কৌশলে নেমেছে। সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করার বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঐসব পরিবেশের নামধারী সংগঠনগুলো। এরা পরিবেশের নাম দিয়ে বরং দ্বীপের পরিবেশের ক্ষতি করছে।
সেন্টমার্টিন হোটেল রিসোর্ট মালিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বলেন, টেকনাফ বন্দরে মিয়ানমারের বাণিজ্যিক বোট প্রতিনিয়ত চলছে। এই বাণিজ্যিক বোটগুলো পর্যটকবাহী জাহাজের চেয়ে আকারে অনেক বড় এবং অনেক বেশি পণ্য বহন করে। এতো বড় বড় বাণিজ্যিক পণ্যবাহী বোট চলতে পারলে পর্যটকবাহী জাহাজ কেন চলতে পারবে না? আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই নৌরুডে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করতে কোনো অসুবিধা হবে না।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে সবই সম্ভব। দ্বীপবাসী তার সহযোগিতা চায়। টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালাচলে অনুমতির মধ্য দিয়ে আমাদের দ্বীপের অর্থনৈতিক সঙ্কটের নিরসন হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন