বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে স্ত্রী হত্যার দায়ে দীর্ঘ ১৭ বছর স্বামী মঈন উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মঈন একলাশপুর ইউনিয়নের অন্ততপুর গ্রামের কাজী বাড়ির গোলাপ রহমানের ছেলে। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার পলি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করতেন। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু বখাটে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে বখাটেদের মধ্যে মঈন উদ্দিন কৌশলে ফাতেমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর একদিন স্বামীর বাড়িতে ছিলেন সে। এরপর বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে গত ২০০৫ সালের ৩১ আগস্ট ফাতেমাকে হত্যা করে ড্রেনে ফেলে রাখে মঈন। মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় ফাতেমার বাবা বেগমগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ওই বছরের ২ নভেম্বর ইব্রাহিম মিয়া জানতে পারেন তার মেয়ের লাশ পানিতে ভাসছে। পরদিন তিনি বাদী হয়ে ফাতেমার স্বামী মঈনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বলেন, ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে নিজের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন সে। এরপর জামিনে গিয়ে পালিয়ে যায় সে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৭ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন