লঞ্চ দুর্ঘটনায় মালিকপক্ষের অবহেলা ও অতিরিক্ত যাত্রীবহনের কারণে ২০০৯ সালে কোকাণ্ড-৪ লঞ্চ ডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। গতকাল দুপুরে লালমোহন প্রেসক্লাবের আয়োজনে কোকো ট্রাজেডির ১৩ বছর উপলক্ষে মামলার রায় বাস্তবায়ন ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। এসময় এমপি শাওন বলেন, ঈদ-উল-আযহার আগের রাতে লালমোহনে ঘাটেই এ লঞ্চ ডুবিতে ৮১ জনের প্রাণহানী হয়। দুর্ঘটনার ১৩ বছরেও নিহতদের পরিবার কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় কোকোণ্ড-৪ লঞ্চ মালিকের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। লঞ্চ ডুবির এ ঘটনার পর তখন এমপি না হয়েও তাৎক্ষণিক ঢাকা থেকে ছুটে এসে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং স্বজনহারাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন বর্তমান সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। লালমোহন প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম জনির সঞ্চালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম হাওলাদার, সহসভাপতি দিদারুল ইসলাম অরুন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বাদল, আনোয়ারুল ইসলাম রিপন, আবুল কাশেম মিয়া, শাহজামাল দুলাল, সাংবাদিক এসবি মিলন, আনোয়ার রাব্বি প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন