বগুড়া জেলার গাবতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে বিশেষ প্রকল্পের চালের কার্ড বিতরণের অনিয়ম ও লাখ লাখ টাকা আত্মাসাতের অভিযোগে সদস্যরা ঐ ইউপি সদস্যরা অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তারা এই ঘোষণা দেন। সম্মেলনে ইউপি সদস্যদের পক্ষে শিরিন আকতার বলেন, আমরা নির্বাচিত হওয়ার পর ইউপির নিয়ম কানুন সম্পর্কে তেমন কিছু জানতামনা। চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ এবং সচিব এনামুল হক তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে পরিষদের রেজুলেশন খাতার একাধিক সাদা পাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে। আর সেই রেজুলেশন ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকল্প জমা দিয়ে গোপনীয়ভাবে টাকা উত্তোলন করে এবং কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করতে থাকে,যা আমরা প্রথমদিকে তারা বুঝতে পারেননি। পরে চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম ও টাকা আত্মসাতের বিষয় বুঝতে পেরে তাকে সেগুলো বলা হলে সেবিষয়ে ফারুক আহমেদ কোন কর্নপাত করতেননা। অনিয়মের প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান তাদেরকে পরিষদ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি ধামকি প্রদান করে এবং মিথ্যা মামলার হুমকি দেয়। গত ২০২১-২২ অর্থ বছরের রেজুলেশন খাতায় দেখা যায় যে, ট্যাক্সের ৩ লাখ টাকা অনিয়ম করে আত্মসাৎ করেছেন উক্ত চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প ১৫ টাকা কেজি দরে চালের কার্ড বিতরণের সময় জনপ্রতি ২ হাজার করে টাকা নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য রেজাউল করিম, শহিদুল ইসলাম সরকার বাদল,পাতা প্রামানিক, আব্দুস সালাম, আবু সাইদ খান, রাসেল আহমেদ, এনামুল হক, মহিলা সদস্যা মর্জিনা খাতুন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন