আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভিন্ন সমাবেশে রিজার্ভ নিয়ে মিথ্যাচার করছে। অথচ বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৯ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রয়েছে। বিএনপির আমলে ছিল মাত্র সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। তাদের লজ্জা থাকা উচিত।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী মারা যাওয়ায় মির্জা ফখরুল সাহেবকে কান্নাকাটি করতে দেখা গেল। অথচ তাদের হাঙ্গামায় ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রায় দশ হাজার নেতাকর্মী মারা যায়। তখন আপনার এই চোখের পানি কোথায় ছিল?
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়া গর্বের বিষয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আপনারা ভেবে দেখুন কি ছিল বাংলাদেশ আর এখন কি হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। একসময় আমাদের মর্যাদা ছিল না, আমরা ছিলাম ভিক্ষুকের জাতি। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। বিএনপি-জামায়াত অসত্য কথা বলে ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের নেতা তারেক মুচলেকা দিয়ে চলে গিয়েছে। এখন আবার প্রধানমন্ত্রীর হতে চায়। তাদের স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না।
তিনি বিএনপির উদ্দেশে বলেন, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন কোথায় নিয়ে গেছেন বাংলাদেশকে। আপনাদের আমলে উৎপাদন, বিদ্যুৎ, চিকিৎসায় বিপর্যয় ঘটেছে। শেখ হাসিনার হাত ধরে সকল ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আর আমাদেরকে কেউ ভিক্ষুকের জাতি বলে না। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বে মন্দা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এ সমস্যা কাটিয়ে উঠবো।
তিনি আরও বলেন, জিয়া কখনোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেনি। তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে কাজ করেছেন। তিনি গোলাম আযমকে দেশে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছেন। এখনো জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানি সৈনিক হিসেবে কাজ করছে। জামায়াত-বিএনপি একই মায়ের পেটের দুই ভাই। বাংলাদেশের বড় সমস্যা হচ্ছে জামায়াত-বিএনপি। আপনারা পাকিস্তানে চলে যান, বাংলাদেশের মানুষ খুশি হবে।
শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিন্টুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর অবসরপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক সংসদ সদস্য এ্যডভোকেট নূরজাহান বেগম মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ড. শামছুল হক ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির আহমেদ ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন