মোংলায় ৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্ধ হওয়া প্রায় ২ কোটি টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক,প্রকৌশলী ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে শিক্ষা অধিদপ্তর কতৃক তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বার) সরেজমিনে কয়েকটি স্কুলে গিয়ে খরচের ব্যয় সংক্রান্ত নথিপত্র ও যাবতীয় কাজ দেখেন তদন্ত কমিটির প্রধান বাবুল আখতার ও সদস্য আবদুর রব।তদন্ত কাজ শুরুতে কমিটির কর্মকর্তাগন পৌর শহরের খানজাহান আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে খরচের ভাউচারের সাথে কাজের মিল না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আরো কয়েকটি স্কুল পরিদর্শন করে নানা অসংগতি ধরা পড়ে কমিটির তদন্তে।
এবিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান মাগুরা জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বাবুল আখতার জানান,বিভাগীয় উপপরিচালক খুলনার নির্দেশনা পেয়ে সরকারী বরাদ্ধ অনিয়মে তদন্ত শুরু করেছি। আমাদের কাছে যেসব অনিয়ম ধরা পড়বে তা কাগজে কলমে লিখিত নিয়ে অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।পরবর্তীতে অধিদপ্তর পর্যলোচনা করে ব্যবস্থা নিবে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,গেল অর্থ বছরে মোংলা উপজেলার ৭১ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংস্কার,ক্রিড়া সামুগ্রী ক্রয় ও শ্লিপের মাধ্যমে মালামাল ক্রয়ের জন্য বরাদ্ধ হয় প্রায় ২ কোটি টাকারও বেশি। সংস্কার কাজ শেষ দেখিয়ে বরাদ্ধের ওইসব অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে গেল জুন মাসে। উত্তোলনকৃত টাকা কাজে ব্যবহার করা হয়েছে মোংলা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী লাবিব হোসেন প্রত্যয়ন পত্রপ্রদান করেন।
তবে প্রত্যয়ন পত্রে স্বাাক্ষর থাকা সহকারী প্রকৌশলী লাবিব হোসেন জানান,তার স¦াক্ষর জাল করে ওইসব প্রত্যয়ন তৈরী করা হয়েছে। তিনি কোন প্রত্যায়ন দেননি। বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনা হলে শিক্ষা অধিদপ্তরের নজরে আসে। এর পরেই গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন