শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

গার্মেন্টস কর্মীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্বারোপের আহ্বান

সেমিনারে বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ৫:৫৯ পিএম

বাংলাদেশের চল্লিশ লাখ গার্মেন্টস কর্মীর দুই-তৃতীয়াংশই নারী, এই নারী কর্মীদের হাত ধরেই বছরে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। কিন্তু যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে তাদের যথেষ্ট জ্ঞান নেই। তাই গার্মেন্টস কর্মীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করার লক্ষ্যে সর্বাধুনিক জ্ঞানের সংকলন, প্রচার ও চর্চা শুরু করতে হবে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘এ কমপ্রিহেনসিভ অ্যাপ্রোচ টু এসআরএইচআর’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন ।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের মাননীয় সচিব সাইফুল হাসান বাদল। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাননীয় মহাপরিচালক শাহান আরা বানু, এনডিসি।

সাইফুল হাসান বাদল বলেন, একটি উদ্ভাবনী উপায়ে গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারগুলোকে মোকাবেলা করার জন্য প্রমাণভিত্তিক গবেষণার ওপর ভিত্তি করে একটি দুর্দান্ত কাজ করেছে এই স্টিচ প্রকল্পটি। গার্মেন্টস কর্মীদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের গৌরবপূর্ণ দায়িত্ব, বিশেষ করে তাদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারগুলো। আমাদের এমন যত্নশীল এবং মানবিক পরিবেশ প্রদান করতে হবে যাতে তাদের উত্পাদনশীলতা আরও বেড়ে যায়। আমি সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাকে অনুরোধ করছি এই ধরনের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সামগ্রিক উদ্যোগে ক্রমাগত সহায়তা দেওয়ার জন্য।

গার্মেন্টসের নারী কর্মীদের জন্য এমন কার্যকরী আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে শাহান আরা বানু, এনডিসি বলেন, আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে যাতে করে আমাদের গার্মেন্টেসের নারীরা যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে সচেতন হতে পারে। এবং তারা যাতে সব ধরনের যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে।

সেমিনারের সঞ্চালক ও রেডঅরেঞ্জ কমিউনিকেশনস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্ণব চক্রবর্তী তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের পোশাক শিল্পের নারী শ্রমিকরা তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য ও তার অধিকার নিয়ে সচেতন নয়। তাই আমরা স্টিচ প্রকল্পের আওতায় ৩৮৭টি গার্মেন্টসের নারী কর্মীদের ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। সেই সাথে তাদের জন্য বিশেষায়িত ট্রেনিং মডিউল তৈরী করেছি, যা তারা স্টিচ-এর ডিজিটাল শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম থেকে সহজেই সংগ্রহ করতে সক্ষম।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ভ্রাইয়ে ইউনিভার্সিটি আমস্টারডাম-এর স্টিচ প্রকল্প পরিচালক ড. এলেন বা’ল; আয়াত স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার-এর ফোকাল পার্সন (স্টিচ)- লায়লা করিম; আদিবাসী জনগণ উন্নয়ন পরিষেবা (আইপিডিএস)-এর সভাপতি সঞ্জীব দ্রং; ভ্রাইয়ে ইউনিভার্সিটি আমস্টারডাম এসটিআইটসিএইচ (স্টিচ) প্রকল্প ম্যানেজার এস্থার ডেন হার্টঘ সহ আরও অনেকে।

স্টিচ প্রকল্পে ভ্রাইয়ে ইউনিভার্সিটি আমস্টারডাম- এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, রেডঅরেঞ্জ কমিউনিকেশনস, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), আয়াত স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার এবং আইপিডিএস একসাথে কাজ করেছে এবং একটি পাঠ্যক্রম তৈরি করেছে। সেই সাথে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত মহিলা কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ টুলকিট তৈরি করা হয়েছে। এই সেমিনারে ডিজিএফপি-এর দু’টি মডিউল, এএসডিসি-এর একটি মডিউল এবং আইপিডিএস-এর একটি মডিউল উদ্বোধন করা হয়েছে৷

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন