মিনিকেট নাম ব্যবহার করে মোটা চাল মজুদ রাখায় মাদারীপুর সদর উপজেলায় ‘বিসমিল্লাহ এগ্রো ফুড লিমিডেট’ নামে একটি মিল কারখানার মালিককে ১৫ দিনের কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুদ্দিন এ আদেশ দেন। এসময় মিল মালিককে আরো এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুদ্দিন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ‘মিনিকেট চাল’ নেই বলে প্রতিটি মিল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। কিন্তু এরপরেও কিছু মিল মালিক বিভিন্ন কোম্পানীর নামে ‘মিনিকেট চাল’ বলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগে সদর উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ‘বিসমিল্লাহ এগ্রো ফুড লিমিডেট’ এ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফৌরদৌসের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় বিভিন্ন কোম্পানির নামে ৬৩৩ বস্তা চাল ও ৫৭৮টি খালি বস্তায় ‘মিনিকেট’ নাম ব্যবহার করা পাওয়া যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মিল কারখানার মালিক মো. শাহাদাত হোসেনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- ও এক লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়। এসময় চাল জব্দ করা চাল বাজেয়াপ্ত করে কেন্দুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মো. রায়হান কবীরকে প্রধান করে নিলামে বিক্রির নির্দেশ দেয়। এছাড়া উদ্ধার হওয়া বস্তা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহাকরী পরিচালক জান্নাতুল ফৌরদৌস বলেন, ‘মিনিকেট বলতে কোন চাল নেই। মোটা চাল মেশিন দিয়ে কেটে আর পালিশ করে বাজারে বিক্রি করা হয়। ফলে ভোক্তারা অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে চাল ক্রয় করে থাকেন। এমন অভিযোগে মোবাইল কোর্ট করে জেল-জরিমানা করা হয়। ৬৩৩ বস্তা চালের বাজার ধরে ১২৫০ টাকা ধরা হয়। যা নিলামে বিক্রি করে রাষ্টীয় কোষাগারে জমা দেয়া হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন