যশোরে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক নারীসহ ডাকাত চক্রের ১০ সদস্যকে আটক ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গোপালগঞ্জ, নড়াইল, খুলনা ও যশোরে অভিযান চালিয়ে এই ডাকাতদের আটক করা হয়। একইসাথে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত মালামাল।
আটককৃতরা হলেন, নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি পূর্বপাড়ার জহুর মোল্যার ছেলে আরজ আলী (৪৫), নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার জোকারচর গ্রামের আক্তার সরদারের ছেলে রুবেল সরদার (৩৪), একই গ্রামের হেমায়েতের ছেলে শাহ আলী বাবু (৩৮), নড়াগাতি থানার চালনা গ্রামের ওহিদুল মোল্যার ছেলে নাদিম মাহমুদ (২৭), গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানির ফলসি গ্রামের বাবু শেখের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩২), একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সবুজ কাজি (৩৬) ও গফ্ফার সরদারের ছেলে বোরহান সরদার (৩৫), খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার নলিয়ারচর গ্রামের কলিন মোল্যার ছেলে ওহিদ মোল্যা (৪০), একই গ্রামের মুকুল বিশ্বাসের ছেলে সুনাম বিশ্বাস (৩২) ও আদমপুর গ্রামের মিরাজ শেখের স্ত্রী আফরোজা (৩২)। গ্রেফতার কৃতদের বিরুদ্ধে খুনসহ ডাকাতি, চুরির মামলা তদন্ত ও বিচারাধীন রয়েছে।
যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র ডিবি'র ওসি রুপন কুমার সরকার বুধবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী, নড়াইলের কোতোয়ালী ও কালিয়া থানায়, এবং খুলনার তেরখাদা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করা হয়।
গত ১৮ অক্টোবর রাতে বাঘারপাড়া উপজেলার করিমপুর গ্রামে ডাকাতি হয়। ওই ডাকাতির সূত্র ধরে ডিবি পুলিশের টিম মঙ্গলবার ও বুধবার ভোরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা, নড়াইল, কালিয়া, খুলনার তেরখাদা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণালংকার, ১টি মোবাইল ফোন, নগদ ২২ হাজার টাকাসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত মটরসাইকেল, মাস্টার চাবি, গাছি দা, দা, রড, খেলনা পিস্তল ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
ডিবি ওসি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাঘারপাড়ায় ৩ দিনে ৪টি ঘটনা, সদরের তপস্বীডাঙ্গায় সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাসহ ডাকাতি, ডাকাতি, চুরি মামলা তদন্ত ও বিচারাধীন মামলার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, যশোরে থাকা তাদের সদস্যদের মাধ্যমে বাড়ি সনাক্ত করে তারা একত্রিত হয়ে ডাকাতি করে থাকে।
মন্তব্য করুন