২০১৯ সালের ৩০এপ্রিল সকালে চার বছর বয়সি শিশু খাদিজার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় খাদিজার দাদা আসমত আলী বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং-১)। মামলাটি দীর্ঘদিন পুলিশ তদন্ত করলেও কোন তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি। পরে মামলাটি সিলেট পুলিশের (সিআইডি) বিভাগে তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়। অবশেষে ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন বছর পর তথ্য উদঘাটন করেছে (সিআইডি)।
এ ঘটনায় সিআইডি পুলিশের তদন্তকারি কর্মকর্তা ওসি আশরাফ উজ্জামান গত ২৭ নভেম্বর রোববার বিকেলে সিঙ্গেরকাছ বাজার থেকে ঘাতক ‘কার্তিক চন্দ্র মিস্ত্রীকে (৬৫) গ্রেফতার করেন এবং ২৮ নভেম্বর আদালতের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। আদালতে ঘাতক ‘কার্তিক চন্দ্র মিস্ত্রী স্বীকার করেছে শিশু খাদিজাকে ধর্ষনের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার কথা।
শিশু খাদিজার বাড়ি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার বীর কলস গ্রামের হাতাগাড়ি চালক শাহিনুর মিয়ার মেয়ে। তারা দীর্ঘদিন ধরে স-পরিবারে বিশ্বনাথ উপজেলার সিঙ্গেরকাছ বাজারে লন্ডন প্রবাসী আব্দুস সালামের ভাড়াটে বাসার বসবাস করত। একই বাসার কেয়ারটেকার হিসেবে বাসার সামনে একটি দোকানে চাদশি চিকিসালয় নামের একটি ফার্মেসীর ব্যবসা করে আসছিল ঘাতক ভূয়া চাদশি চিকিৎসক ‘কার্তিক চন্দ্র মিস্ত্রী। সে বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার বেদগর্ভ গ্রামের মৃত জগবন্ধু মিস্ত্রীর ছেলে।
মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন