আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, তোরা আর কোনদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারবি না। আওয়ামী লীগ, স্বাধীনতার স্বপক্ষশক্তি যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে আর শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা জীবিত থাকেন তাহলে এই বাংলাদেশ সারা জীবন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি পরিচালনা করবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাকিস্তানে বৃষ্টি হলে এদেশে ছাতা ধরেন যেসব পাকিস্তান প্রেমী তাদের বাক্সে ভরে ওইখানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। গতকাল বুধবার স্থানীয় পৌর পার্কে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনার সময় চিকিৎসার নাম করে খালেদা জিয়া বিদেশে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
বিএনপি নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে শেখ সেলিম বলেন, করোনার আগে খালেদা জিয়ার ডাক্তাররা বলেছিল বিদেশে চিকিৎসা না হলে খালেদা জিয়া তিন মাসও বাঁচবেন না। আড়াই বছর তো হয়ে গেছে উনি (খালেদা জিয়া) তো মারা যাননি। তার অর্থ কি জানেন উনি এদেশ থেকে পালাতে চেয়েছিলেন। আর আমাদের বলে পালানোর কথা। আওয়ামী লীগ কখনো কারো কাছে মাথানত করেনি, আমার নেতাও করেনি। আমরা কখনো পালাবো না। ২৫ মার্চই পালায়নি বঙ্গবন্ধু। আর আমরা পালাব কেন?
বিএনপিকে পালানো পার্টি মন্তব্য করে এ আ.লীগ এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসল তখন ওদের অনেক নেতা পালিয়ে গেছে। তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছে। খোকা গেছেন আমেরিকা। সেখানে মারা গেছেন। তারপর ফালু সেও পালিয়ে কোথায় আছেন তার খবর নেই। একবার শুনি লন্ডন আছে একবার শুনি দুবাই আছেন। তারপর হারিস চৌধুরী বিদেশে পালিয়ে থেকে দেশে এসে ঘরের মধ্যে পালিয়ে থেকে মারা গেছেন। ওদের যুগ্ম সম্পাদক সালাউদ্দিন পালিয়ে আসামে গেছে। দেশে আসে না। ওদের পালানোর অভ্যাস। ওরা বলে আমরা পালাব। আমাদের কোনো নেতা কোনদিন পালায়নি। বিএনপি’র ঢাকার মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে শেখ সেলিম বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি’র ঢাকার মহাসমাবেশে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, ’৭১ এর ঘাতক, ১৫ আগস্টের ঘাতক, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘাতকরা ও মানি লন্ডারিং এর লোকেরা এখানে আসবে। আমি তো ওদের স্বাগত জানাই। কারণ তোদের তো আমরা চাই। তোরা যে অন্যায় করেছিস তোরা তো পালিয়ে বেড়াচ্ছিস। তিনি আরো বলেন, তারেক ও কোকো তো আগেই রাজনীতি করবে না বলে নাকে খত দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। কিন্তু টাকা মানি লন্ডারিং করে নিয়ে গেছে। আমরা সে টাকা থেকে কিছু উদ্ধার করে দেশে এনেছি। সব টাকা উদ্ধার করা যায়নি। আর তারেক জিয়ার বউ আর খালেদা জিয়া না কি আপোসহীন নেত্রী। খালেদা জিয়া জেলে গেছে এতিমের টাকা মেরে। ১৭ বছরের জেল হয়েছে।
শেখ সেলিম বলেন, কোকো মারা যাওয়ার পর শেখ হাসিনা দেখতে গিয়েছিলেন, তখন ঢুকতে দেয়নি। এদের লজ্জ্বা আছে? তার (খালেদা জিয়া) ভাই আর বোন প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বলেন বোনের (খালেদা জিয়া) জেলে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাকে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করলে ভাল থাকবেন। আমার নেত্রী বলেছেন সে তো সাজাপ্রাপ্ত আসামী। সে তো বাসায় গেলে সেখানে বসে রাজনীতি করবে। তখন তারা বলে আমরা লেখে দিচ্ছি রাজনীতি করবেন না। তাকে বলে ১০ তারিখে এনে সমাবেশে বসাবে। এরা নাকে খত দিয়ে গেছে রাজনীতি করবে না তারা বলে আসবে। এরা স্বাধীনতাবিরোধী কর্মীদের সতেজ করতে বিদেশ থেকে কিছু টাকা পায়। তা দিয়ে দেশকে অশান্ত ও বিশৃংখলা করতে এসব করে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলন কেন্দ্রীয় আওয়ামী সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, এস এম কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সদর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসমত আলী সিকদার চুন্নু বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন