ফরিদপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে পুলিশি নির্যাতন, গায়েবি মামলা, গুম খুনের প্রতিবাদে গতকাল বিক্ষোভ সমাবেশটি ছিল পুর্বনির্ধারিত।
ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কায়ুম জঙ্গির সভাপতিত্বে পুলিশের মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা, পুলিশি নির্যাতন ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিল। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয়সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাসুকুর রহমান মাসুক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈছা, সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া,বিত্রনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবজাল হোসেন খান পলাশ। জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন রাজিব, মহানগর যুবদলের সভাপতি, বেনজির আহমেদ তাবরীজ সহ অন্যান্যরা। হটাৎ করে ৪০ থেকে ৫০ জনের একদল সরকার দলীয়ও নেতাকর্মীর নেতৃত্বে ক্লাবের মাঠে এসে বিএনপির নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট পাটল ছুড়তে থাকে। বিএনপি নেতাকর্মীরা মঞ্চ থেকে সকলে দ্রুত স্থান করলে মঞ্চে থাকা, সকল চেয়ারগুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় সরকার দলীয়রা এবং ব্যানার ফেস্টুন ও ছিঁড়ে ফেলে হয়।
গতকালের বিত্রনপির বিক্ষোভ সমাবেশের প্রধান অতিথি, বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান গণমাধ্যমকে বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে অগণতান্ত্রিক চর্চা করা খুবই বেদনাদায়ক। ক্ষমতা মানুষকে শুধুই ক্ষমতা দেয়, ভাল মানুষ বানায় না। নেতাকর্মীদের উপর এই ঘৃনতম হামলা ভাঙচুরের ঘটনা অমানুষের কাজ।
ঘটনার খবর পেয়ে প্রেসক্লাবের সমাবেশ স্থানে ছুঁটে আসেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ ইসলাম, তিনি তাৎক্ষণিক হামলার বিষয় তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ইতিপূর্বে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশ করে আমরা সফল হয়েছি। প্রত্যেকেইটি গণসমাবেশ গণজোয়ারেরই হয়েনি জনস্রোতের ও জনতার ঢল নেমেছে। এ জনস্রোত দেখে আওয়ামী লীগ তথা প্রধানমন্ত্রীও ভীতু হয়ে পড়ছেন। গণসমাবেশ ঠেকাতে প্রত্যেক সমাবেশ স্থানে হামলা করা হয়েছে, গনগ্রেফতার হয়েছে, হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। দেশের পরিবহন নৌযান ফেরি বন্ধ করা হয়েছিল তারপরও গণজোয়ার ঠেকানো যায়নি। আগামী ১০ তারিখ ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে সরকার পতনের ডাক আসতে পারে এই ভয়ে আওয়ামী লীগের সারা দেশের রাজনীতিতে এবং নেতাকর্মী সমর্থরা কঠিনভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। ফরিদপুরের বিএনপির সভা মঞ্চের উপর নগ্ন হামলা, চেয়ার টেবিল ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের উপর হামলা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দুর্বলতার একটি অংশ। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ আমাদের সভামঞ্চে হামলা করে কমপক্ষে ৩০ জন নেতাকর্মীদের আহত করছেন। পাশাপাশি কথিত অভিযোগ সাজিয়ে আমার দলের অন্তত ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছেন। আমি দ্রুত সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি চাই, তাদেরকে যে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এর তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা চোখে দেখেছেন কারা হামলা করছেন, আমি সকলের কাছে শুনেছি। ৩০/৪০ জন ছাত্রলীগ / যুবলীগের নেতাকর্মী এই ন্যাক্কারজন ও ঘৃণিত ঘটনা ঘটায়। এটা কোন রাজনৈতিক শিষ্টাচার হতে পারে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন