সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যাহত ও বিএনপি‘র অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর কুমাপাড়া¯’ দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়। এরপর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট হয়ে রাজশাহী কলেজের সামনে দিয়ে ফায়ার সার্ভিস মোড় ঘুরে ঘোষপাড়া হয়ে মালোপাড়া হয়ে জয় বাংলা চত্বর (বাটার মোড়) হয়ে সাহেব বাজার জিরোপায়েন্ট বড় মসজিদের সামনের চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এরপর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্বে দেন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশের সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার। কর্মসূচিতে মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিজয়ের এই মাসে রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগ বিশাল মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টি করলো। এই মানুষগুলোকে মাদ্রাসা মাঠে ঢোকালে মাদ্রাসা মাঠভরপুর হয়ে যাবে। যেইটার জন্য বিএনপি কয়েকদিন ধরে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে রাজশাহীর আটটি জেলা ভাড়া করে লোকজন নিয়ে এসে তারা মাঠে ভর্তি করে দেখাতে চায়। আসুন-দেখুন, মাত্র একদিনের নোটিশে আমরা কী রকম বড় মিছিল ও সমাবেশ করতে পারি। আমরা শুধুমাত্র রাজশাহী মহানগর এই আয়োজন করেছি। রাজশাহী জেলা ও অন্যান্য জেলাকে আলাদাভাবে প্রোগ্রাম করতে বলেছি। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আওয়ামী লীগ মানেই জনগণের সংগঠন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিল তিল করে তাঁর যৌবনের সমস্ত উত্তাপ দিয়ে তিনি দলটিকে তৈরি করেছিলেন। সেই দল আওয়ামী লীগকে দুর্বল ভাববেন না, শেখ হাসিনাকে দুর্বল ভাববেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন