নির্বাচনে গোলযোগ সৃষ্টি ও বানচাল কারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) এর বঙ্গবন্ধু পরিষদ (সাইদুল-মোর্শেদ) পক্ষ। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবী জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক আজ ১ তারিখ সকাল ৯:০০ ঘটিকা হতে দুপুর ১:০০ ঘটিকা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির একাদশ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভোট কেন্দ্র অবৈধভাবে দখল করে গোলযোগ সৃষ্টি করে ভোট গ্রহণে বাধার সৃষ্টি করে। সেই সকল শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরদের কয়েকজন ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত কক্ষটিতে অবস্থান করে এবং নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে বিঘ্ন ঘটায় যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
নির্বাচন কমিশন এবং ভোট দিতে আসা উপস্থিত ভোটারগণের অনুরোধ উপেক্ষা করে তারা জোর করে কক্ষ দখল করে উচ্চবাচ্য করে, যেটি সম্পূর্ণভাবে অশিক্ষকসুলভ। নির্বাচন কমিশনারগণ তাদের সকলকে কক্ষ ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের পরিবেশ করে দেওয়ার জন্য বার বার করজোড়ে অনুরোধ করলে, সে অনুরোধকেও তারা অগ্রাহ্য করে। এতে করে উপস্থিত ভোটারগণ ভোট দিতে পারেননি এবং চূড়ান্তভাবে নির্বাচন কমিশন আজকে নির্বাচনকে স্থগিত ঘোষণা করে। এটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক ঘটনা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদির দেখভালকারী একটি পেশাজীবী সংগঠন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে শিক্ষক সমিতির একটি লিখিত গঠনতন্ত্র রয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুসরণ করেই নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণসহ অন্যান্য বিষয়াদী সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে অত্যন্ত বিস্ময় ও উদ্বেগের সাথে জানাচ্ছি যে, এসকল শিক্ষকই শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশন ও এর গঠন প্রক্রিয়াকে অনিয়মতান্ত্রিক আখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জোর চেষ্টা করেছে। এর পেছনে রয়েছে গুরুতর দুরভিসন্ধি ও অন্যায্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়। এ ধরনের দুরভিসন্ধি এবং মিথ্যাচার অত্যন্ত দুঃখজনক এবং যা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক।
গোলযোগ সৃষ্টি এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ উদ্ভূত এ পরিস্থিতি এবং পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী সকলের প্রতি তিব্র নিন্দা জ্ঞাপনসহ প্রকাশ্যে যারা এ নির্বাচনকে বানচাল করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছে।
উল্লেখ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৩ এর নির্বাচনে ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের একটি পক্ষের বিরোধিতায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন