কুড়িগ্রামে গলাকেটে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী মোখলেসুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত সাহেরা বেগম উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের পলাশবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মো. মোখলেছুর রহমান পলাতক ছিলেন। পরে দিনাজপুর শহর থেকে তাকে আটক করা হয়। নিহতের মাসহ পরিবারের লোকজনের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে শাহেরার স্বামী তাকে গলাকেটে হত্যা করে লাশ ঘরে রেখে তালাবদ্ধ করে পালিয়েছিলো। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মোখলেসুর রহমান ও সাহেরা বেগম,তাদের ২৫ বছরের সংসার।
বিবাহের পর থেকে মোখলেসুর রহমান তার শ্বশুর বাড়ি কুড়িগ্রাম বেলগাছা ইউনিয়নের পলাশবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামে থাকতেন। তাদের দুই মেয়ের বিবাহ দিয়েছে ও এক ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। পারিবারিক কোন্দল ছিলো দীর্ঘদিনের । গত বুধবার বাড়িতে স্বামী স্ত্রী দু’জনই ছিল। দুপুর বেলা কথা কাটাকাটি করে এক পর্যায়ে ধারালো রামদা দিয়ে জবাই করে, ঘরে তালা মেরে পালিয়ে যায়। পরে রাত ৮টার দিকে নিহতের ছেলে মো.শামীম কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পায়। পরে তালা ভেঙে তার মাকে বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে আসে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মা ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে আসামি মোখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত শাহেরা বেগমের মা ফাতেমা বেগম বলেন, আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাঁন মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, ঘটনার ৬ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত স্বামীকে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জের টিকুর সাল খুঁড়িয়া এলাকা থেকে মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো রাম দা’টিও উদ্ধার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন