অনেক বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে আসা মোংলা বন্দর এখন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণ। প্রধানমন্ত্রী শেথ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে মোংলাবন্দরের উন্নয়নে সময় উপযোগি বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেন, যার ফলে এক সময়ের লোকসানী প্রতিষ্ঠান মোংলা বন্দর এখন জাহাজ আগমনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও দূরদর্শিতায় অচিরেই মোংলা বন্দর শিপিং হাব এ রুপান্তর হবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৭২ তম বন্দর দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহষ্পতিবার আয়োজিত কর্মসূচিতে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা এসব কথা বলেন ।
তিনি আরও বলেন, দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তথা বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বন্দরটি ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। ২০০১ হতে ২০০৮ অর্থ বছর পর্যন্ত এ বন্দর নানামুখী প্রতিকূলতার কারণে লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। বিগত ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে ৯৫টি জাহাজ আগমন করে এবং ২০০৪-২০০৫ অর্থ বছরে বন্দর ১১ কোটি টাকা লোকসান করে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে মোংলা বন্দর উন্নয়নের জন্য সরকার অগ্রাধিকার ও বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে এবং বন্দরের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে কাজ শুরু করে। ফলে ক্রমান্বয়ে মোংলা বন্দর গতিশীল হতে থাকে, যার কারণে প্রতি বছর বিদেশী জাহাজ আগমনের রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বন্দর ভবনসহ মোংলা ও খুলনাস্থ বন্দর এলাকায় আলোকসজ্জ্বা করা হয়। রাত ১২টা ১ মিনিটে বন্দরে অবস্থানরত দেশি, বিদেশি সকল জাহাজে একযোগে হুইসেল বাজানো হয়। বন্দরের অগ্রগতি কামনা করে মোংলা বন্দরের মসজিদে দোয়া মাহফিল করা হয়। সকাল ৯টায় কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে বন্দরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন ও বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা কেক কেটে দিবসের সূচনা করেন। অলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার পরিচালক (প্রশাসন) মো. শাহীনুর আলম, বন্দর সচিব কালাচাঁদ সিংহ, মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান প্রমুখ।
বন্দরের সেরা কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব কালাচাঁদ সিংহ, উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান মুন্সী, চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব নিয়ামুর রহমান, তথ্য সহকারী মো. মনিরুল ইসলামকে ক্রেস্ট ও সম্পাননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বন্দর ব্যবহারকারী ও সম্মানিত অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন