সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকলো শেয়ারবাজার। গতকাল বৃহস্পতিবার সূচক ও লেনদেন বাড়ার পাশাপাশি বড় হয়েছে দাম বাড়ার তালিকা। ডিএসইতে দাম কমার তালিকায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠান স্থান করে নিয়েছে, তার প্রায় তিনগুণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। এরপরও গত কয়েকদিনের মতো ডিএসই এবং সিএসইতে দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি রয়েছে।
দাম অপরিবর্তিত থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে তারা ক্রেতার অভাবে তা বিক্রি করতে পারছেন না। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যে ডিএসই’র প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের প্রথম ঘণ্টাজুড়েই। লেনদেনের ৫৫ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৩ পয়েন্ট পড়ে যায়। প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে সূচক, যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৬১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩টির। আর ২৩৪টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়ার দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৮৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৪৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
বাজারটিতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ২১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে, ই-জেনারেশন, আমরা নেটওয়ার্ক, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ওরিয়ন ইনফিউশন, নাভানা ফার্মা এবং ইস্টার্ন হাউজিং।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ২ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৬১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩টির এবং ১১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন