আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে বলেছেন, মীর্জা ফকরুলের মুখে মধু, আর অন্তরে বিষ। তারা ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেওয়াও হয়েছে। কিন্তু এতে তারা স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন না। নতুন নতুন নাটক করে যাচ্ছেন। আমরা কাউকে সমাবেশ করতে বাধা দিব না। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন ঢাকায় ঝিবএনপির সমাবেশে কোনো পরিবহন ধর্মঘট থাকবে না। এরপরও যদি লাঠি ও আগুন নিয়ে মাঠে নামেন তাহলে খবর আছে।
গতকাল গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্কে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, তারেক রহমান কোনদিন রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে গিয়ে বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। দেশ থেকে অর্থ পাচার করে বিভিন্ন দেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। কত টাকা পাচার করেছে তা উদ্ধার করা হবে। আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সরকার হটানো যাবেনা। সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। জনগণের ভোটে যারা বিজয়ী হবে, তারাই সরকার গঠন করবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার বদলে তাদের স্বপ্ন কখনও পূরণ হবেনা।
সম্মেলনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সকল মতভেদ ভুলে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর কারণ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা আজ ঐক্যবদ্ধ। শুধু আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে কোনো শক্তি নেই যে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারে। খুনির দল এখনও সক্রিয়। বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল না। এটা একটা খুনির দল। বিএনপির জম্ম ক্যান্টনমেন্টে। ক্যান্টনমেন্টে সৃষ্ট কোনো দল কখনও গণতান্ত্রিক হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর তাদের ষড়যন্ত্র থেকে ছিল না। তারা শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা চেষ্টা করেছে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে যান।
শেখ সেলিম বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে ছিল বলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। চার জাতীয় নেতা হত্যার বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা বেঁচে ছিল বলেই আমরা আজ সম্ভাবনাময় দেশ হয়েছি। শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশ হিসেবে পরিণত হবে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মেদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম এমপি ও এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা মহনগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নার্গিস রহমান এমপি, আওয়ামী লীগের উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
সঞ্চলনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথি শেখ ফজলুল করিম সেলিম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মাহবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে কাজী লিয়াকত আলী লেকু ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. আবু সিদ্দিক সিকদার এবং গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মো. গোলাম কবির ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলীমুজ্জামান বিটুর নাম ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন