ভরাবর্ষা মৌসুমে নয়, নদীর পানি কমে গেলেই স্থানীয়রা বাঁশ, কাঠ ও গাছের ডাল দিয়ে সেতু তৈরী করে তারা নদী পারাপার হয়। নদীর এপার-অপার জমির ফসল ঘরে তুলতে ও প্রয়োজনের তাগিদেই উভয় পাড়ের লোকজন মিলে সেতু তৈরী করে থাকেন। নিজেদের প্রয়োজনেই বছরের পর বছর এমন কার্যক্রম করে আসছেন তারা। এ সেতুর উপর দিয়েই এলাকাবাসীর পাশাপাশি অনেকেই ঝুঁকিতে মটরসাইকেল, সাইকেল ও পায়ে হেটে পারাপার হচ্ছে। এলাকাবাসী সহ সকলের দাবী যদি এখানে একটি স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণ করা হয় তাহলে দুই ইউনিয়ন ও পৌরবাসীর উপকার হবে। পাঁচবিবি পৌরবাসী ও বালিঘাটা ইউপির লোকজন ১০ থেকে ১২ কিঃমিঃ পথ ঘুড়ে মাওড়িতলা অথবা শিমুলতলী ব্রীজ হয়ে আয়মারসুলপুর ইউনিয়নে যেতে হয়। ব্রীজের অভাবে আয়মাবাসীকেও একই দূরত্ব অতিক্রম আসতে হয়। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটা ও আয়মারসুলপুর ইউপির শুন্যরেখা পাটাবুকা আখিরাঘাট এলাকায়। ভারতের হিলি দক্ষিন দিনাজপুর থেকে বয়ে আসা ছোট যমুনা নদী আখিরাঘাট দিয়ে চলে গেছে।
পাটাবুকা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন, ছোট-বড় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের তৈরী সেতুর উপর দিয়েই পার হয়। উভয় পাড়ের সবাই মিলে বাঁশ, কাঠ ও টাকা তুলে শ্রমিকসহ গ্রামের যুবক ছেলেরা মিলে এবছর সেতুটি বানিয়েছে। এলাকার সত্তর বছর বয়সের মকছেদ আলী বলেন, নদীতে পানি কমে গেলে আমার পূর্ব-পুরুষরাও এভাবে বাঁশ-কাঠ দিয়ে সেতু বানিয়ে পারাপার হত। আয়মারসুলপুর গ্রামের লাকি নামের এক মহিলা ৫ বছরের নাতনীকে কোলে নিয়ে সেতুর উপর দিয়ে পাঁচবিবি শহরের যাচ্ছেন। এমন বাঁশের সেতুর উপর দিয়ে পার হতে তার গাঁ কাঁপছে বলে জানান। নদীর দক্ষিন পাড়েই ছোট দোকান করে সংসার চালায় রোমান মিয়া। তিনি বলেন, পাঁচবিবি বাজারে দোকানের মালামাল নিতে সেতু দিয়ে যেতে পারলেও মালামালসহ ভ্যান নিয়ে অনেক দূর ঘুড়ে ফিরতে হয় এতে ভাড়া ও সময় বেশী লাগে হয়। সকলের দাবী এখানে যদি একটা ব্রীজ নির্মাণ করে দিত আমাদের খুব উপকার হত।
উপজেলা প্রকৌশলী কাইয়ুম হোসেন বলেন, প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫ মিঃ দীর্ঘ একটি ব্রীজ ওই নদীর উপর নির্মাণ কাজ অল্পকিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন