বিএনপির বিভাগীয় গনসমাবেশ শুরু হবে শনিবার ৩ ডিসেম্বর। এই সমাবেশের দুইদিন আগেই ১০ দফা দাবিতে আদায়ে নাটোরসহ রাজশাহী বিভাগে আট জেলায় অনির্দিষ্ট কালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতি। শুক্রবার ছিলো পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন। ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে লালপুর উপজেলা সদর থেকে ইজিবাইকসহ হালকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও কোন প্রকার যাত্রীবাহি বাস ও পণ্যবাহি যানবাহনও ছেড়ে যাই নি। রাস্তাঘাট গুলি ছিলো প্রায় যানবাহন শূন্য। ধর্মঘটের কারনে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রি সাধারন দের। জরুরী প্রয়োজনে যেতে পারছে না কোথাও পথে পথে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
রবিন আলী নামের এক যাত্রি বলেন, পাবনায় মাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য এসছিলাম । এখন শুনি বাস ধর্মঘট চলছে। পরে উপায় অন্তর না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। এদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামিউল ইসলাম নামের এক যাত্রি বলেন, আজ আমার রাজশাহি যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারনে যেতে পারছি না।
লালপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনর রশিদ পাপ্পু অভিযোগ করে বলেছেন, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের বাঁধা দিতেই সরকার তার দলের নেতাকর্মীদের দিয়ে ঘৃণ চক্রান্ত চালিয়ে ধর্মঘটের নামে মানুষের জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি করে প্রহসন করছে। তার পরেও বিভাগীয় সমাবেশ সফল করেত নেতাকর্মীরা দলে দলে যোগ দিতে অনেকে তিন দিন আগে থেকেই রাজশাহী পৌঁছেছে। এছাড়াও নেতাকর্মীদের সমাবেশে যোগ দিনে না পারে তার জন্য সরকার নতুন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশি অভিযান চালাচ্ছে। ’
তবে এবিষয়ে নাটোর জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ও উত্তরবঙ্গ মোটর মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান বলেন, তারা কারো সমাবেশ ঠেকাতে এই ধর্মঘটের ডাক দেননি। সরকার এখনই তাদের দাবি মেনে নিলে ধর্মঘটও থাকবেনা। করোনা কালীন ট্যাক্স মওকুফ ও জ্বালানী তেল এবং যন্ত্রাংশের মূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য এই ধর্মঘট। এই ধর্মঘট পালনে কোন জায়গায় জোর-জবরদস্তি করা হচ্ছেনা। যানবাহন শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি করছে। তিনি আরো বলেন ধর্মঘট ডাকলে
যাত্রিদের দুর্ভোগ হবে। যাত্রিদের সাথে বাস মালিক বা শ্রমিকদের কোন শত্রুতা নেই। তাদের কেউনা কেউ বাস মালিক শ্রমিকদের সজন।’
নাটোরের কোথায় কোন অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শান্তিপুর্ন পরিবেশ বজায় রাখতে জেলার গুরুত্বপুর্ন এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্তক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন নাটোর জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান।’
এ দিকে বিএনপির কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, বিএনপির কোন নেতাকর্মী বাসায় ঘুমাতে পারছে না। তারা বাসা ছাড়া এলাকা ছাড়া ।এখন সমস্ত নেতাকর্মীরা রাজশাহী সমাবেশ মুখি। এখন বাস ধর্মঘট পরিবন ধর্মঘট এসব আমরা কোন কেয়ার করিনা। সব সমাবেশে জনতার ঢল নেমেছিল। আমরা সমাবেশ সফল করবোই। আমরা ভেবেছিলাম সেই উপলদ্ধি থেকে রাজশাহীর সমাবেশের আগে কোন ধর্মঘট ডাকবেনা তারা। এই ধর্মঘট দিয়েও রাজশাহী সমাবেশে জনতার ঢল ঠেকাতে পারবেনা। এই সরকারের পতন ঘটাতে মানুষ এখন বিএনপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ। ধর্মঘটের ডাক দিলেও রাজশাহীর সমাবেশ হবে স্মরনকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন