দিনাজপুরে বিশিষ্ট কাপড় ব্যবসায়ীর কিল-ঘুষিতে ব্যাটারী চালিত অটো বাইক চালকের মৃত্যুর ঘটনায় দিনাজপুরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তারচেয়ে বেশী আলোচিত হচ্ছে বাসায় মরদেহ রেখে গরীব অটোচালকের স্ত্রী ৪ শিশু সন্তানকে নিয়ে ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে এনে মাত্র ৪ লক্ষ টাকায় কোটি পতি ব্যবসায়ীর হত্যার দায়মুক্তি। দিনাজপুরের অন্যতম ব্যবসায়ীক এলাকা মালদহপট্টি এলাকায় দুপুর ১২ টায় আর রাত আটটায় ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে হত্যা ঘটনার নিস্পত্তি হয়। হাসপাতাল ফেরত মরদেহের ময়না তদন্ত করাতে পারেনি পুলিশ সমঝোতা প্রত্যাশিদের আপত্তির মুখে। তবে মালদহপট্টি এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি ছিল সার্বক্ষন।
আজ শুক্রবার দুপুরে শহরের মাদদহপট্টি এলাকায় অস্থায়ী বাজার বৌ -বাজার চলাকালে খলিকুজ্জামান তার অটো নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় এক পথচারীকে সাইড দিতে গিয়ে সামান্ন ধাক্কা লাগে। এই ঘটনায় কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রসিদ্ধ কাপড় ব্যবসায়ী মেঘা গার্মেন্টস এর মালিক ডালওয়ালা সন্তোস তার গলায় হাত রেখে সজোরে ঘুষি মারলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মোবাইলে বিষয়টি তার স্ত্রী নুরজাহানকে জানালে সে ছুটে আসে। অজ্ঞান খলিকুজ্জামানকে (অটোচালক) কে আরেকটি অটোতে উঠিয়ে এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। খলিকুজ্জামানের তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে দশম শ্রেনীর ছাত্র।
মৃত্যুর পর থেকে ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে থাকে। অসহায়ত্বের কারনে স্ত্রী সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য মোটা অংকের অর্থ প্রদানের কথা চালাচালি করা হয়। নিহতের স্ত্রী ও ভাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অর্থের বিনিময়ে বিষয়টির সমাধানে রাজী হয়। তবে অন্যান্য নিকট আত্মীয়রা বিষয়টিকে সহজে মেনে না নেয়ায় নিস্পত্তি হতে রাত আটটা বেজে যায়।
সন্ধা ৭ টার দিকে ময়না তদন্ত না করে বাড়ীতে মরদেহ আনা এবং মামলা না হওয়ার বিষয় সর্ম্পকে জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নিতে দিচ্ছে না স্বজনেরা।
উল্লেখ্য সন্ধা ৬ টায় বাড়ীতে মরদেহ থাকা অবস্থায় মৃতের স্ত্রী নুরজাহান ও ৪ শিশু পুত্রকে মালদহপ্িট এলাকায় আনা হয়। দীর্ঘ দুই ঘন্টা আলোচনার পর ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মামলা না করার শর্তে বিষয়টি নিস্পত্তি করা হয়। ৪ লক্ষ টাকায় নিস্পত্তির ঘটনায় অন্যান্য আত্মীয়তা উম্মা প্রকাশ করে। রাতেই লাশ দাফনের প্রস্ততি গ্রহন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন