আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ওইদিন কক্সবাজার সাগর তীরে অবস্থিত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন। এই জনসভা সফল করতে ব্যাপক তৎপর হয়ে উঠেছেন মাঠ পর্যায়ের সর্স্তরের নেতাকর্মী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কক্সবাজার সাংগঠনিক সফরকে কেন্দ্র করে দল গোছানোর কাজ সেরে নিচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর সফরের মাত্র ৫ দিন পর ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কক্সবাজার আওয়ামী লীগের জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল।
ইতোমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার জন্য অনেকেই সাধ্যমতো দৌঁড়ঝাঁপ ও চেষ্টা তদবির করছেন। কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথেও নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ করছেন কেউ কেউ। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে সভাপতি পদে পাঁচজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- জেলা কমিটির সাবেক আহবায়ক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান এবং চকরিয়া উপজেলা সভাপতি জাফর আলম এমপি। তবে কক্সবাজার পৌরসভা বাস্তবায়নাধীন পানি শোধনাগার প্রকল্পের কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে মুজিবুর রহমানের নাম চলে আসায় কিছুটা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজনের নাম সামনে এসেছে। তারা হলেন, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনজিত দাশ ও আশেক উল্লাহ রফিক এমপি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাশেদুল হক রাশেদ।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ ১১টি সাংগঠনিক উপজেলা নিয়ে গঠিত। ইতোমধ্যে ওই ১১টি উপজেলার মধ্যে ১০টি সাংগঠনিক উপজেলার সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। একটি মাত্র উপজেলা রামুর সম্মেলন ও কাউন্সিল এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, জেলা সম্মেলনের পূর্বে রামু উপজেলার সম্মেলন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে এ উপজেলায় বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে অন্তবর্তীকালীন একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হতে পারে জেলা সম্মেলনের আগেই।
প্রায় ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি। ওইদিন সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক পদে (বর্তমান মেয়র) মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। সম্মেলনে প্রায় সাড়ে ৮ মাস পর ১৩ অক্টোবর ঘোষণা করা হয়েছিলো ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
এদিকে ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দলের নেতৃত্বে কারা আসছেন, দলের প্রধান শেখ হাসিনা কাদের ওপর দলের দায়িত্বভার তুলে দেবেন, কাদের কপালে জুটবে জেলা আওয়ামী লীগের মূল নেতৃত্ব, বর্তমান নেতৃত্বই কি রেখে দিবেন নাকি নতুন মুখ দেখা যাবে এমন নানারকম প্রশ্ন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ জেলার রাজনীতি সচেতন মহলের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন