শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

লাঠি, বোমা আনতেই নয়াপল্টনে সমাবেশ চায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে বিএনপি লাঠি, বোমা আনবে বলেই দলটি পল্টনে সমাবেশ করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন সেতু ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন। এখানেই পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফখরুলের পছন্দ নয়। তিনি চান পল্টন, ৩৫ হাজার স্কয়ার ফিট। অথচ সোহরাওয়াদী উদ্যানে বেগম জিয়া গত নির্বাচনেও সভা করেছেন। ফখরুলের কেন পছন্দ নয়? স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের বিশ্বাস তার নেই, আবারও প্রমাণ দিলেন। এ জন্য সোহরাওয়ার্দী আপনাদের পছন্দ নয়। এটা ওনাদের জন্য খাঁচা। আর পল্টনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ওনাদের জন্য ভালো। কেন ভালো সেটা আমরা জানি। লাঠি, বোমা নিয়ে আসবেন, এ জন্য এটা ভালো।

গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাবি ছাত্রলীগের সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি ঢাকা দখলের চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে না উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাব না। আপনারা ঢাকা দখল করবেন, আরে আল্লাহ, কত বড় সাহস। শেখ হাসিনা কাউকে ভয় পায় না, এক আল্লাহ ছাড়া। আওয়ামী লীগ ভয় পায়, আপনাদের আগুনসন্ত্রাস, লাঠি নিয়ে খেলাধুলা। সেই বদ মতলব আপনাদের আছে। খবর পেলাম বিএনপি নেতাকর্মীরা হাড়ি-পাতিল, লোটা-কম্বল নিয়ে তাঁবু গেড়েছে। কেন? আমরা তো পরিবহন বন্ধ করতে বলিনি। ৬ তারিখ ছাত্রলীগের সম্মেলন। ছাত্রলীগ আপনাদের ধারে-কাছেও যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রঙিন খোয়াব দেখে লাভ নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংবিধানকে অনেক কচুকাটা করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না।
তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য কাদের বলেন, ২১ আগস্ট আমাদের নেত্রীকে প্রাইম টার্গেট করে আইভি রহমানসহ ২৩ জনকে হত্যার মাস্টারমাইন্ড কে ছিল? হাওয়া ভবনের যুবরাজ তারেক রহমান; মির্জা ফখরুলের নেতা। এমন নেতা যিনি আর রাজনীতি করবেন না- তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আর দেশে আসেননি। কত বড় সাহসী নেতা। তিনি আজ লন্ডনে বসে বসে হুংকার দিচ্ছেন। বলছেন, ‘হাসিনা পালিয়ে যাবে’। কত বড় বেয়াদব শেখ হাসিনাও বলে নাই। ‘তার মন্ত্রীরাও পালিয়ে যাবে। তোমরা রাস্তা দখল করে রাখবে।
এ সময় যোগ্যতার ভিত্তিতে ছাত্রলীগের আগামী নেতৃত্ব আসবে বলে তিনি জানান। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সম্মেলনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ছাত্রদল অছাত্রদের সংগঠন, যাদের ছাত্রত্বের কোনো বালাই নেই। যে সংগঠনের কাজ ছিল টেন্ডারবাজি করা, চাঁদাবাজি করা। কোমল মতি শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন খুনি জিয়াউর রহমান। কিন্তু আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী ছাত্রলীগের হাতে বই, খাতা, কলম তুলে দিয়েছেন। আর এই শক্তিতেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রদল বা অন্য কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে ছাত্রলীগ প্রস্তুত আছে। আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল ও মেট্রোরেলের মতো বড় বড় মেগা প্রকল্প সম্পন্ন করেছে, সে সময় বিএনপির মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। উন্নয়নের কথা শুনলে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে, তারা সহ্য করতে পারে না। ষড়যন্ত্রের জন্য তারা বারবার বিজয়ের মাসকে বেছে নেয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, দীর্ঘ চার বছর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলন হচ্ছে। এই চার বছর সনজিত চন্দ্র দাস ও সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে জাগ্রত করার সুযোগ পেয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাগুলোকে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়েছে। মহামারি করোনায় ছাত্রলীগ কর্মীরা ছাত্রলীগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে জনগণের সেবায় তথা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সেবায় কাজ করেছেন সেজন্য ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ বিভিন্ন হল ইউনিট ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।###

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন