টার্গেট আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ । এই সমাবেশকে ঘিরে উজ্জীবিত ছিল নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। রীতমত নানা কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথ দখল করে রেখেছিল। বিন্তু হঠাৎ করে দলটির নেতা- কর্মীদের মধ্যে নতুন করে বিরাজ করছে মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্ক। নারায়ণগঞ্জের সাত থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নতুন ও পুরাতন মামলায় নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে দিনে ও রাতে তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। চালাচ্ছেন গণ গ্রেপ্তার। এতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে পরিবারগুলো। ফলে গ্রেপ্তার আতঙ্কে ঘরছাড়া নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এদিকে গত ১৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার সাতটি থানায় নতুন করে মোট ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিস্ফোরক আইনে করা প্রতিটি মামলাতেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা আসামি হয়েছেন। এর মধ্যে ৮টি মামলার বাদী পুলিশ এবং দু’টি মামলায় ছাত্রলীগের দুই কর্মী ও একটিতে শ্রমিক লীগের নেতা বাদী হয়েছেন।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি যাতে ফের সংগঠিত হতে না পারে সেজন্য নতুন করে মামলা ও গ্রেপ্তারের কৌশল নেয়া হয়েছে। গণসমাবেশকে বানচাল করতেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী সমর্থক পেশাজীবীদেরও মামলা দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করছে। নেতা-কর্মীদের আশঙ্কা-সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরুর আগে বাড়তে পারে আরও গ্রেপ্তার ও মামলা।
বিশেষ করে ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে এ মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। নতুন মামলার পাশাপাশি পুরোনো মামলায় ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামির স্থানে নাম ঢুকিয়ে তৃণমূলের সক্রিয় নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ঢাকার গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে আওয়ামী পুলিশ। সারাদেশে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়ে গেছে। গণসমাবেশকে ঘিরে উজ্জীবিত নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বিএনপির গণজোয়ার দেখে সরকার দিশেহারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন