সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন বলেছেন, সরকার আমাদের ১০ ডিসেম্বর গণ সমাবেশকে কেন্দ্র করে উম্মাদ ও হিংস্র হয়ে গেছে। এই সরকারের অত্যাচার এবং অবিচার এমন পর্যায়ে চলে গেছে তা থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করতে হলে প্রয়োজন একটি গণ অভ্যূথান।
তিনি আরো বলেন, ‘গুলি খেয়ে, মামলা খেয়েও দলের নেতা–কর্মীরা বিএনপির সভায় আসছেন। তাঁরা রাতে বাসায় ঘুমাতে পারেন না। পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা চালাচ্ছে। ঘুম নেই। আমার প্রশ্ন হলো, আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা তো বাসায় থেকেও ঘুমাতে পারছেন না। বাসায় আরামদায়ক বিছানায় ঘুমাতে পারছেন না। কিন্তু কেন? কী কারণে আপনাদের ঘুম হচ্ছে না। ভাবছেন, এই তো ক্ষমতা গেল। বিএনপি জনগণ একসঙ্গে আছে। ঐক্যবদ্ধ আছে। এই জনগণের জোয়ারে ভেসে যাবেন। টের পেয়ে গেছেন।’
গায়েবি মামলা দিয়ে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। ১০ তারিখে জনগণ শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখাবে। বোমার আওয়াজ নেই, কিন্তু বোমাবাজির মামলা হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় গায়েবি বোমাও ফোটে! বোঝাও যায় না। ‘২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে দেখেছি গায়েবি মামলা। কোথা থেকে মামলা নাজিল হয়, আল্লাহ জানে। এখন দেখছি, নাটুকে মামলা অর্থাৎ নাটক করে প্রথম, মামলা দেয় পরে।’ ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের স্থল নিয়ে নাটক করা হচ্ছে। এই নাটক বাদ দেন। নাটকের কথাবার্তা বাদ দেন।’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে পুলিশের চেকপোস্ট, পল্টন অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, নেতাকর্মীদের বাসা বাড়িতে অহেতুক তল্লাশী, আাবাসিক হোটেলে তল্লাশি, ভুয়া/গায়েবি মামলা দিয়ে ১০ তারিখের সমাবেশ বন্ধ করতে পারবেন না। মোমিন অবিলম্বে টুকুসহ গ্রেফতারকৃত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
আজ রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় সিলেট কোর্ট পয়েন্টে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সহ সভাপতি মুহাম্মাদ নুরুল ইসলাম নয়ন কে পুলিশ গ্রেফতারের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদল কর্তৃক এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন
তিনি।
সিলেট মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহ নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক এর সভাপতিত্বে ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সচিব মকসুদ আহমদ এবং মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা মোঃ সম্রাট হোসেন এর যৌথ পরিচালনায় সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তোফাজ্জল হোসেন বেলাল, আনোয়ার হোসেন মানিক, মইনুল ইসলাম মঞ্জুর, কবির উদ্দিন, সোহেল মাহমুদ, লিটন আহমদ, কয়েস আহমদ, এমদাদুল হক স্বপন, রায়হান আহমদ, মোজাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, জামিল আহমদ, মকসুদুল করিম নুহেল, উসমান গনি, আমিনুল ইসলাম আমিন, ইসহাক আহমদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন হিরা সহ মহানগরের ২৭টি ওয়ার্ড, ১৩টি উপজেলা, ৫টি পৌর যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন