শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

নয়াপল্টনে সভার ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান পরিবর্তন : উত্তেজনা প্রশমনের আভাস

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়েই রাজশাহীতে বিএনপির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এটি নিয়ে বাংলাদেশের ৯টি শহরে বিএনপির ৯টি বিভাগীয় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি, কোনো অঘটন ঘটেনি। বিশৃঙ্খলা, অঘটন এবং অশান্তির যথেষ্ট উপকরণ সরকার বিশেষ করে সরকারের মদদপুষ্ট সংগঠনসমূহ সরবরাহ করেছিল। সরকারি মদদপুষ্ট পরিবহন ধর্মঘট, লঞ্চ স্টিমার এমনকি খেয়া ঘাটের নৌকাও বন্ধ করা হয়েছিল। মিনিবাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি, ভটভটি ইত্যাদি তিনচাকার যানও বন্ধ করা হয়েছিল। এগুলো করেই সরকারপন্থী সংগঠনগুলো ক্ষান্ত হয়নি। তাদের পাশাপাশি পুলিশও যত রকমে পারে সব রকম হয়রানি করেছে। মহাসমাবেশের ৪/৫ দিন আগেই কর্মীদের বাসায় বাসায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। মহাসমাবেশে আসার পথে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চৌকি বসেছিল। তারা মহাসমাবেশে আগুয়ান মানুষকে তল্লাশি করে এবং অনেককে ফিরিয়ে দেয়। এতকিছু করেও তারা জনজোয়ার ঠেকাতে পারেনি। রাজশাহীতে মহাসমাবেশের আগে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রতিদিনই বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়তেন। রাজশাহী একটি বড় শহর। এই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডারদের পাহারায় রাখা হয়েছিল। কেন এদেরকে পাহারায় রাখা হলো, সেটি কারো বোধগম্য হয়নি। শান্তিশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা থাকলে অথবা শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে পুলিশ তো সারাক্ষণ অতন্দ্র প্রহরীর মতো দাঁড়িয়েছিল। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা তো আওয়ামী লীগ বা তার অঙ্গ সংগঠনসমূহের কাজ নয়। এটি শান্তি রক্ষার পরিবর্তে অশান্তি সৃষ্টিতে উস্কানি দেয়। তবে বিএনপি এই ৯টি মহাসমাবেশ অর্গানাইজ করতে এবং মহাসামবেশ চলাকালীন অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার পরিচয় দেয়। কোনো রকম উস্কানির ফাঁদে পা দেয়নি।

সেই সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিএনপি ঘোষণা করেছিল যে, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থাৎ আগামী আড়াই মাসের মধ্যে তারা ১০টি শহরে ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ করবে। সর্বশেষ সমাবেশ অর্থাৎ ১০ নং সমাবেশটি হবে ঢাকায়। সেই কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। ৯টি শহরে ৯টি মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন আগামী শনিবার ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ হওয়ার কথা। কথায় বলে, সব ভালো যার শেষ ভালো। এখন ঢাকার মহাসমাবেশেটি ভালয় ভালয় শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেই সকলের স্বস্তি। কিন্তু সর্বশেষ সমাবেশটি নিয়ে বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা কল্পনা। এটি কি ভালয় ভালয় শেষ হবে? নাকি এটি নিয়ে গোলমাল হবে? কথায় আছে, আগের হাল যেদিকে যায় পিছের হালও সেদিকেই যায়। ৯টি মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে। প্রতিটি সমাবেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটেছিল। যেভাবে পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হুমকি ও হয়রানি উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে বা বিকল্প উপায়ে কষ্ট করে এসব সমাবেশে লাখ লোকের সমাগম ঘটেছিল সেখানে জোয়ারের মতো আসা জনগণকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উস্কানি দিলেই দক্ষ জজ্ঞ কাণ্ড ঘটতে পারতো। সেখানে বিএনপির স্ট্র্যাটেজি বা কৌশল ছিল, যে কোনো মূল্যে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশগুলো শেষ করা। এসব সমাবেশকে একরকম শো-ডাউনও বলা যেতে পারে। লক্ষ লক্ষ লোকের জনসমাগম ঘটিয়ে বিএনপি দেখাতে চেয়েছিল যে, সরকারের পেছনে আর কোনো জনসমর্থন নাই। জনগণ এখন বিরোধী দল, বিশেষ করে বিএনপির পেছনে কাতারবন্দী হয়েছে। বিএনপি যেটা চেয়েছিল সেটা তারা সফলভাবেই করতে পেরেছে। বিএনপির সাফল্য খোদ বিএনপির কাছেই আশাতীত। সরকারের পায়ের নিচ থেকে যে এতখানি মাটি সরে গেছে, সেটি সরকার ভাবতেও পারেনি। এটিই হলো কঠোর বাস্তবতা।

॥দুই॥
গাঁও গেরামে একটি কথা আছে। সেটি হলো, সারা ঘর লেপে এসে দরজায় কাঁদা ছেটানো। সব যখন ভালয় ভালয় শেষ হলো তখন ঢাকায় সভার ভেন্যু অর্থাৎ সভার স্থল নিয়ে গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি হলো কেন? বিএনপি তার নয়পল্টন অফিসের সামনে সভা করতে চেয়েছিল। দরখাস্তও দিয়েছিল সেই মতেই। তো, তাদের নয়াপল্টনের অনুমোদন না দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে বলা হয়েছে কেন? কোন দল কোথায় সমাবেশ করবে সেটি সরকার ডিক্টেট করবে কেন? আমি সংবিধান তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি। কোথাও লেখা নাই যে, সভা করার জন্য সরকার বা পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখন তো তারা সরবে বলতো যে, পারমিশন নিয়ে আওয়ামী লীগ মিটিং করবে না। এখন তারা সরকারি দলে থাকলেও তারা একটি সংবিধান সম্মত রাজনৈতিক দল তো বটে। তারা সমাবেশ করার সময় কয়বার পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে? পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সভা করার পারমিশন দিয়েছে। কিন্তু সাথে জুড়ে দিয়েছে ২৬টি শর্ত। একটি শর্তে আছে যে কোনো মিছিল করে সভা বা সমাবেশে আসা যাবে না। পাকিস্তান আমল থেকে বাংলাদেশের হাল আমল পর্যন্ত শত শত নয়, হাজার হাজার মিটিং হয়েছে। আওয়ামী লীগ বলুক, তাদের মিটিংয়ে কর্মীরা কি মিছিল করে আসেনি? এই যে সম্প্রতি যুবলীগের সম্মেলন হলো সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে কি মিছিল সহকারে তাদের কর্মী ও সমর্থকরা আসেনি?

যে বিষয়টি ছিল জলবৎ তরলং, সেটিকে খামখা জটিল করে তোলা হয়েছে। সরকার বিএনপিকে নয়াপল্টনে সভা করতে দেবে না। তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতেই হবে। এব্যাপারে সরকারের অবস্থান অনঢ়। অন্যদিকে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাবে না। তারা নয়াপল্টনেই সভা করবে। এব্যাপারে তারাও অনঢ়। তাহলে ব্যাপারটি কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো? আজ মঙ্গলবার। হাতে আছে আর মাত্র ৩ দিন। ৪র্থ দিনে বিএনপির সভা। এখন পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী না নয়াপল্টন এই বিরোধ তথা জটিলতার অবসান হলো না। এই জটিলতার শেষ কোথায়? শনিবার ৩ ডিসেম্বর দৈনিক প্রথম আলো তাদের প্রথম পৃষ্ঠার প্রধান সংবাদের শিরোনাম দিয়েছে, ‘নয়াপল্টন থাকবে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে’। ইনসেটে বলা হয়েছে, ‘১০ ডিসেম্বর বিএনপির এই কর্মসূচির আগের দিনই নয়াপল্টনে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান নেবে। অপর ইনসেটে বলা হয়েছে, ‘বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা সেখানেই সমাবেশ করবে- খন্দকার গোলাম ফারুক, কমিশনার ডিএমপি’। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘বিনা অনুমতিতে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে গেলে আইনশঙ্খলা বাহিনী চড়াও হবে বিএনপির ওপর। পথে পথে বাধা সৃষ্টি করবে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন।’

রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, বিএনপি ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনেই জনসমাবেশ করতে চায়। আর আওয়ামী লীগ, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঐদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই বিএনপিকে সমাবেশ করতে বলে আসছে। বলা হয়েছে যে, আগের দিন অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর থেকে নয়াপল্টনে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেবে। এমনটি হলে বিএনপি সেখানে সমাবেশ করতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দলীয়ভাবেও আওয়ামী লীগ অবস্থান গ্রহণ করবে। ৯ ডিসেম্বর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে মহাসমাবেশ ঘোষণা করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এই সমাবেশে যারা অংশ নেবেন তাদের একটি অংশকে আগের দিন ৯ ডিসেম্বর থেকে আওয়ামী লীগ অফিস, অর্থাৎ রমনা ভবনের বিপরীত দিকে মোতায়েন করা হতে পারে।

॥তিন॥
৯ ডিসেম্বর মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগও প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটে শান্তি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না করলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের রাজপথে থাকার নিদের্শ দেওয়া আছে। তারা বিশেষভাবে অবস্থান গ্রহণ করবে ঢাকার প্রবেশ মুখসমূহে। প্রবেশ মুখ বলতে গাবতলী, টঙ্গী এবং আশুলিয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতার নাম উল্লেখ না করে বলা হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ ১০ ডিসেম্বর দেখাতে চায় যে, সরকার পতনের মতো শক্তি এখন পর্যন্ত বিএনপি অর্জন করতে পারেনি। সরকার এবং আওয়ামী লীগ না চাইলে বিএনপি যে, রাজপথে তার সাংগঠনিক শক্তি দেখাতে পারবে না, সেটাও প্রমাণ করতে চায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ মনে করে যে, ১০ ডিসেম্বর নিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু এখন উল্টো সভা অনুষ্ঠান নিয়ে বিএনপিই চাপের মধ্যে পড়েছে।

স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে যে, সরকার এবং আওয়ামী লীগ বিএনপির নয়াপল্টন সমাবেশ নিয়ে হার্ড লাইন গ্রহণ করেছে। তারা মুখে যেমন শক্ত শক্ত কথা বলছে এবং কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে, তেমনি কাজেও তারা সেটি করিয়ে দেখাচ্ছে। বিএনপি কোনো দিনই মারদাঙ্গা পার্টি হিসাবে জনগণের কাছে পরিচিত নয়। সেই শুরু থেকে আজ পর্যন্ত বিএনপি ভদ্রলোকের পার্টি বলে পরিচিত। বিএনপিকে কেউই মারামারির পার্টি হিসাবে চিন্তা করেন না। এই পটভূমিতে আওয়ামী লীগের কঠোর উচ্চারণসমূহের মোকাবেলা কীভাবে বিএনপি করবে সেটি নিয়ে সুধী সমাজ বা নাগরিক সমাজের মধ্যে তুমুল আলোচনা হচ্ছে।

জল্পনা-কল্পনা চলছে, শেষ মুহূর্তে বিএনপি কি নয়াপল্টনের সিদ্ধান্তে অটল থাকবে? নাকি সোহরাওয়ার্দীতেই যেতে বাধ্য হবে? সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে রাজি না হলে তারা কি শেষ পর্যন্ত নয়াপল্টনে মিটিং করতে পারবে? কেউ কেউ বিষয়টিকে এখন দুই দলের পক্ষেই প্রেসটিজ ইস্যু বলে মনে করছেন। যদি এটা প্রেসটিজ ইস্যুই হয়ে থাকে, তাহলে সেই ইস্যুটি তো সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি নয়াপল্টন চেয়েছে, নয়াপল্টনে পারমিশন দিলেই তো সব ল্যাঠা চুকে যায়। তাহলে খামখা মাঝখানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে টেনে আনা হলো কেন? আওয়ামী লীগ মনে করেছে যে, তারা বলটি বিএনপির কোর্টে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি মনে করে যে, বলটি এখন আওয়ামী লীগের কোর্টেই আছে। মিত্রদের কাছে বিএনপি নাকি বলেছে যে, ঢাকার জনসভায় অর্থাৎ নয়াপল্টনের জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য লাখে লাখে মানুষ নয়াপল্টন আসবে। সমগ্র ঢাকা মহানগরী এবং অন্যান্য জেলা থেকেও নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নয়াপল্টনে আসবে। আসতে গিয়ে তারা যদি বাধাপ্রাপ্ত হয় অথবা তাদেরকে যদি আসতে দেওয়া না হয় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে এবং বিক্ষিপ্তভাবে এখানে ওখানে কনফ্রন্টেশনাল বা মোকাবেলার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আর যদি সরকার ও দলীয় শক্তির কাছে বিএনপি দাঁড়াতে না পারে তাহলে সেই একই দিনই সারাদেশে সরকারের এই আচরণকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হবে। শুধু তাই নয়, ঢাকার বিদেশি দূতাবাসগুলোও তীক্ষè নজর রাখছে ১০ ডিসেম্বরের ঘটনাবলির ওপর। যদি বিএনপিকে বাধ্য হয়ে পিছু হটতে হয় তাহলে তার প্রকৃত কারণও দূতাবাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়বে।

সবকিছু মিলে আওয়ামী লীগ শক্তিতে জয়ী হলেও জনসমর্থন এবং নৈতিক দিক দিয়ে তারা অনেক পেছনে চলে যাবে। আখেরে আদ্যপান্ত বিবেচনায় লাভ হবে বিএনপি তথা আওয়ামী বিরোধী শক্তির। আওয়ামী লীগের তাই উচিৎ হবে নয়াপল্টনের অনুমতি দিয়ে দেওয়া। তাতে তাদের নেতিবাচক ভাবমর্যাদা কিছুটা কমবে।

সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, বিএনপি নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বর তাদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে যে অনঢ় অবস্থান নিয়েছিল, সেখান থেকে সরে এসেছে। রাজশাহীর জনসভা থেকে ঢাকায় ফিরে গত ৪ ডিসেম্বর রবিবার নয়াপল্টন অফিসে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন যে, তুরাগ নদীর পাড় বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অর্থাৎ ঢাকা মহানগরীর দূরের কোনো জায়গায় নয়, মহানগরীর মধ্যে যদি বিকল্প কোনো স্থান সরকার প্রস্তাব করে তাহলে বিএনপি সেই প্রস্তাব বিবেচনা করবে। বিকালে বিকল্প স্থান নিয়ে বিএনপি এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন অফিসারদের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিকল্প ৪টি স্থান নিয়ে আলোচনা হয়। এর ফলে সৃষ্ট টান টান উত্তেজনার সাময়িক অবসান হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
Jasim Uddin ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ২:১১ পিএম says : 0
পুলিশ অনুমতি দেওয়ার কে? তারা তো শুধু নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
Total Reply(0)
Abdur Rob ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ২:১১ পিএম says : 0
আপনাকে আমাকে ভয় দেখিয়ে ঘরে বসে রাখা অর্থ হল অত্যাচারের শাসকের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা । আসুন আমরা সবাই মিলে ঘর থেকে বাহির হই গণ সমাবেশে যোগ দেই অত্যাচারের শাসকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই ভয় কে জয় করে সুশাসন ন্যায়বিচার এবং গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি । মনে রাখবেন আমরা সবাই মিলে একটি বৃহত্তর শক্তি এই শক্তি মোকাবেলা করার ক্ষমতা অত্যাচারী শাসকের থাকে না এবং জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস ।
Total Reply(0)
Fatema Khatun ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ২:১২ পিএম says : 0
· আমি ফাতিমা খাতুন বলে রাখলাম একদিন এই সরকারের পতন আসবে।এত ভয়ানক ভাবে পতন হবে যে সব মানুষ মনে রাখবে। খুব দ্রুতই সেই সময় বাংলার মানুষ দেখবে
Total Reply(0)
MD Sofik MD Sofik ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ২:১২ পিএম says : 0
ভাই ভোট অধিকার চাই। আমরা জনগণ আর কিছু চাইনা। সাধারণ জনগণের জন্য কেউ কাঁদে না। কষ্ট খেয়ে না খেয়ে কাজ করে। আর লুট পাট চলছে। বিচার নেই জমি দখল রাস্তা দখল সব হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কষ্ট আরো বাড়ছে। আমরা বাংগালী জাতি শান্তি চাই। পেট ভরে দুই মোট ভাত খেয়ে বাছতে চাই ।
Total Reply(0)
SardaR SagoR ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫৫ এএম says : 0
বিএনপির নেতৃবৃন্দরা ১০ই ডিসেম্বর নিয়ে যতই হামতাম করুক না কেন পরিশেষে ১০ এ ডিসেম্বর কিছুই হবে না এমনকি সমাবেশটাও নয়া পল্টনে হবে না সরকারের দেওয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সমাবেশ হবে। বিএনপির নেতারা মাইক হাতে নিয়ে কিছু গরম বক্তৃতা দিবে ১০ই ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাবে এই কথাটা ১১ ডিসেম্বর মিলিয়ে দেখবেন।
Total Reply(0)
Mohammad Shahin Hasan ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫৯ এএম says : 0
বাংলাদেশের আইন সবার জন্য সমান এই কথাটা হাস্যকর,আওয়ামীলীগ রাজতন্ত্র কায়েক করছে,যার প্রমান ১০ ডিসেম্বরের আগে গেরেপ্তারী পরোয়ানা ও পুলিশর হয়রানী,পুলিশ ভাইদের প্রতি অনুরোধ দেশের মানুষের পক্ষে থাকেন
Total Reply(0)
Md Kajol Islam ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫৯ এএম says : 0
ইনশাআল্লাহ জনগণের দল বিএনপির বিজয় আসবেই আসবে
Total Reply(0)
সালমান সালমান ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫৯ এএম says : 0
হ আল্লাহ তায়ালা তুমি এই জুলুম সরকার মিথ্যা বাদী আওয়ামী লীগেকে ধ্বংস করে দাও আমার মাতৃভূমিকে বাঁচাও
Total Reply(0)
Johirul Islam ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:০২ এএম says : 0
আসলে আমাদেরকে বুঝতে হবে দেশদ্রোহী কারা??? বর্তমানে দেশকে নিয়ে কারা খেলছে ??? দেশদ্রোহী তারাই যারা দেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে পক্ষ নিয়েছে এবং যারা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা (সাংবিধানিক অধিকার হরণ, ভোটের অধিকার হরণ, নাগরিকের সার্বভৌমত্ব থেকে বঞ্চিত করা, মানবাধিকার হরণ, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মিথ্যা মামলা) কে ধুলিস্যাৎ করে দেয় I জনগনের আশা-আকাঙ্খা (সাংবিধানিক অধিকার হরণ, ভোটের অধিকার হরণ, মানবাধিকার হরণ, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মিথ্যা মামলা) দমনের লক্ষ্যে বিশেষ বাহিনী ব্যবহার করেছে I তাই বর্তমান সময়ের রাজাকারদেরও আমাদের চিনতে হবে I যারা অর্থ পাচারকারি এবং অর্থপাচারের সুযোগ করে দিচ্ছে (এদেশ লুটে খাচ্ছে, উন্নত দেশে বেগমপাড়া বানিয়েছে এবং পরিবারের সদস্যদের উন্নত কোন দেশের নাগরিক বানিয়ে রেখেছে যাতে পালাতে সুবিধা হয়) তারাই বর্তমান সময়ের রাজাকার! স্বাধীনতার ৫১ বছরের সবচেয়ে বড় অর্জন চাঁদাবাজির বৃহৎ সিন্ডিকেট ও বৃহৎ দুর্নীতির দেশ I রাষ্ট্রীয় আদর্শ কথায় আছে কাজে নাই! বাস্তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতান্ন্ত্রিক মুল্যবোধ, সামাজিক ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা আছে কি⁉️ প্রায় ৫০ লক্ষ অসৎ এবং মুনাফিক জনগণ (অধিকাংশ ক্ষমতাসীন জনপ্রতিনিধি, অধিকাংশ সরকারি কর্মচারী, অধিকাংশ শিল্পপতি, যাদের ক্ষমতা আছে সিন্ডিকেট করার, ৫০ লক্ষ অসৎ এবং মুনাফিক মানুষ মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কারা বুঝে নিন) ১৮ কোটি জনগণের উপরে চাঁদাবাজি করে জনগণের হক মেরে অর্থ-সম্পদ বানানোর নির্লজ্জ কারিগর I গত 10 বছরে সাড়ে ছয় লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে, বেগম পাড়া হয়েছে I অর্থ পাচারকারীরা তাদের পরিবারের সদস্যকে উন্নত কোন দেশের নাগরিক বানিয়ে রেখেছে যাতে পালাতে সুবিধা হয় I অধিকাংশ ক্ষমতাসীন জনপ্রতিনিধিরা, অধিকাংশ সরকারি কর্মচারীরা, অধিকাংশ শিল্পপতিরা বড় বড় দুর্নীতি করছেন, এই কারণে তারা জানেন যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক প্রতিনিধির কাছে কোন জবাব দিতে হবে না কারণ লুটপাটের সাথে প্রতিটি গ্রুপ একত্রিত হয়ে একটি সিন্ডিকেট হয়ে গিয়েছে I শুধু একটু অবশিষ্ট থেকে যায় যদি সাংবাদিকরা জেনে ফেলে ⁉️ তাও কোন সমস্যা নেই কারণ তাদের বিচার হবে না, তাদের সাজা হবে না, চাকরি যাবে না, জেল হবে না I তাই এই দেশে ঘুষ-দুর্নীতি, অর্থপাচার চলতেই থাকবে I
Total Reply(0)
Monirul Islam ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ২:১১ পিএম says : 0
স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা আমাদের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত চাই,, যা বর্তমান সরকার লুণ্ঠিত করেছে। আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ,, মারামারি হানাহানি জেল জুলুম অবিচার এসব থেকে আমরা মুক্তি চাই। ক্ষমতার মসনদে বসে, রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিধাকে ব্যবহার করে,, লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে জনসভা করা গর্বের কিছু না,,এটা সাধারণ বিষয়...!!! দয়া করে মানুষের ভাষা বুঝার চেষ্টা করেন। আমাদেরকে মুক্তি দেন।
Total Reply(0)
Md Rejaul Karim ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:১৭ পিএম says : 0
এত লম্বা সময়ধরে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করলে দলের মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা বেশী হয়!! ইনশায়াল্লাহ বিএনপির বিজয় নিশ্চিত।।।
Total Reply(0)
Md Rejaul Karim ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:১৭ পিএম says : 0
এত লম্বা সময়ধরে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করলে দলের মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা বেশী হয়!! ইনশায়াল্লাহ বিএনপির বিজয় নিশ্চিত।।।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন