ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক সউদী সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডে সউদী প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে করা মামলা খারিজ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মামলাটি খারিজ করেন বিচারক জন বেটস। এ সময় তিনি জানান, মামলা থেকে যুবরাজ সালমানকে দায়মুক্তি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করার কোনো ক্ষমতা তার নেই। জন বেটস বলেন, সউদী আরবসহ বিদেশি বিভিন্ন বিষয় দেখভালের দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র সরকারের। এখন যদি আদালত সউদী যুবরাজের দায়মুক্তির বিষয়ে বিপরীত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়, তা সরকারের ওই দায়িত্ব পালনে হস্তক্ষেপ হবে। তাই এই মামলা নিয়ে ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার উপায় তার হাতে নেই।
গত সেপ্টেম্বরে সউদী আরবের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন যুবরাজ সালমান। এরপর গত ১৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটির আদালতকে জানান, একটি বিদেশি সরকারের বর্তমান প্রধান হিসেবে সউদী যুবরাজ মার্কিন আদালতের বিচারের আওতা থেকে রেহাই পাবেন। সালমানকে নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই অবস্থানের ভিত্তিতেই হত্যা মামলাটি খারিজ করেছেন বিচারক জন বেটস।
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর খাসোগিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সউদী আরবের কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেন তার বাগদত্তা হেতিজে চেঙ্গিস। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সউদী নেতৃত্ব ও দেশটির কর্মকর্তারা খাসোগিকে আটকে রেখে মাদক প্রয়োগ ও নির্যাতন করে হত্যা করেছেন। সালমানসহ সউদী আরবের শাসকগোষ্ঠীর কঠোর সমালোচক ছিলেন খাসোগি। তাই, এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই সন্দেহের তীর ছিল যুবরাজ সালমানের দিকে।
খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে শুরু থেকে শক্ত অবস্থানে ছিল মার্কিন সরকার। গত বছরেই এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুবরাজ সালমান খাসোগিকে হত্যাকাণ্ডের অনুমোদন দিয়েছিলেন এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদিও ওই দাবি নাকচ করেছিল সউদী সরকার। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন