নেছারাবাদে হটাৎ, করে গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) মধ্য রাতে ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে মানুষের। পাড়া মহল্লায় মানুষের সরগরম, ডাক চিৎকার, মসজিদে মসজিদে মাইকিং গভীর ঘুম থেকে জেগে ওঠে সাধারন মানুষ। ঘুম থেকে জেগেই মসজিদের মাইকে শোনতে পারে এলাকায় ডাকাত পড়তে পারে সবাই সজাগ সতর্ক থাকুন। এর পর থেকে সাধারন মানুষের মাঝে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।
জানাযায়, নেছারাবাদে গত তিন দিন পূর্বে উপজেলার ইন্দেরহাট এলাকায় সিসি ক্যামেরায়,মধ্য রাতে স্পীটবোর্ডে অজ্ঞাত একদল মুখোশধারী লোকের সমাগম দেখা যায়। এসময়, বাজারের পাহারাদারদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সটকে পড়ে। তার ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে উপজেলায় ডাকাত আতঙ্ক শুরু হয়েছে। হটাৎ, করে গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) মধ্য রাতে মানুষের ডাক চিৎকার, মসজিদে মসজিদে ডাকাত আতঙ্কের মাইকিং এ ঘুম ভাঙ্গে মানুষের। মসজিদের মাইকিংএ পাড়া মহল্লায় রাস্তাঘাটে নেমে পড়ে দল বেধে পাহারা। এতে মানুষের মধ্য ভয় উৎকন্ঠতা দেখা দিয়েছে। তবে সুর্নিদিষ্ট করে কেউই বলতে পারেনি উপজেলায় কোথাও কোন ডাকাতির খবর।
এদিকে জানমাল নিয়ে ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে বিশেষকরে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের। পুলিশ বিষয়টি আচ করতে পেরে মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জোরদার করছে তাদের টহল। তবে বিষয়টিকে কেউ কেউ গুজব মনে করে যা যার মত বলে বেড়াচ্ছেন।
নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র গোলাম কবির বলেন, সবাই বলে ডাকাত ডাকাত। আমি দেখিনি শুনি ডাকাত। তিনি বলেন, কোন পক্ষ নাশকতা সৃষ্টির জন্য হয়তো এরকম কিছু করতে পারে। তারাতো সর্বদা দেশে অস্তিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে তৎপর। তবে তাদের স্বার্থ হাসিল হবেনা। এ ব্যাপারে পুলিশ সহ সাধারন মানুষ সজাগ রয়েছে। তবে তিনি বলেন, গত দু'দিন পূর্বে উপজেলার ইন্দেরহাটে নাকি ডাকাত আসছিল। যা সিসি টিভির ফুটেজে দেখা গেছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য এলাকা ভিত্তিক পাহারার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বিষয়টি একেবারে গুজব বলে উড়িয়ে দেয়া যাবেনা। আমাদের পাশ্ববর্তী এলাকা উপজেলায় ডাকাতির খবর আসছে। তাই আমাদের কাছে এ উপজেলায় ভিবিন্ন মাধ্যমে ডাকাতি হতে পারে বলে খবর পাচ্ছি। তাই মানুষকে সতর্ক করার জন্য এলাকা ভিত্তিক মাইকিং, পাহারার কথা বলা হচ্ছে। হাট বাজার মহল্লায় সিসি ক্যামেরার কথা বলা হচ্ছে। যাতে কোন প্রকার দুর্ঘটনা না ঘটে।
জানাযায়, গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠিতে) ডাকাত ডুকেছে। এ মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ একে অপরের ফোনে খবর আসে। সাথে সাথে সাথে উপজেলার একটি পৌরসভা সহ দশটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে সবাইকে সতর্ক করতে শুরু হয় মাইকিং। মাইকিং শব্দ পেয়ে মানুষ ঘুম থেকে উঠে ভোর রাত পর্যন্ত নির্ঘুম রাত মানুষের। এতে বিশেষ আতঙ্কে পড়ে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ। তারা রাত জেগে পাহারা দেয় ওয়ার্ডের অলিগলিতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন