পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় বিএনপি-জামায়াত এবং এদের অংগ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বালিপাড়া বাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারধোর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল বাশার ওরফে বাদশা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।
উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ হাওলাদার এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল কবির তালুকদার, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আতিকুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আল আমিন এবং সদস্য সচিব সাদিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুয়েল রানা, উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ ফরিদ আহম্মেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক হুমায়ুন কবির সহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
এ মামলায় মঙ্গলবার রাতেই উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ফরিদ আহম্মেদ এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া মামলায় উপজেলার ৭ জন সংবাদকর্মী এবং ৪ জন ইউপি সদস্যকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বালিপাড়া বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে যুবলীগের মাসিক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। রাত সোয়া আটটার দিকে তাদের কর্মী সভা শেষ হওয়ার পর বিএনপি ও জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতকর্মীরা মিছিল সহকারে তাদের উপর হামলা করে। এ সময় তাদের উপর ককটেল নিক্ষেপ করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা বলে অভিযোগ করেন বাদশা।
মামলার অন্যতম আসামী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল কবির তালুকদার অভিযোগ করেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরে ঢাকায় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা যাতে অংশ নিতে না পারে এজন্য সারা দেশের ন্যায় ইন্দুরকানীতেও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে।
তিনি দাবি করেন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই এ মামলায় উপজেলার সব এলাকা থেকে বিএনপি এবং এর অংগ সংগঠনের নেতকর্মীদের আসামী করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ইন্দুরকানী থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক। এ মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন