হালাল পণ্যের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে মুসলমানদের মধ্যে। সেই সাথে অমুসলিমদের মধ্যেও এর চাহিদা বাড়ছে ব্যাপকভাবে। ইউরোপ, আমেরিকা, চীন ও অস্ট্রেলিয়ায় অমুসলিমদের মধ্যে এটা সর্বাধিক। সার্বিকভাবে বৈশ্বিক হালাল পণ্যের বাজার বাড়ছে বছরে ৬.১% হারে। এ অবস্থায় ওআইসির উদ্যোগে আয়োজিত তুরস্কের ইস্তাম্বুলের ইস্তাম্বল এক্সপো সেন্টারে নবম ‘ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট’ অনুষ্ঠিত হয় গত ২৪-২৭ নভেম্বর। এতে ৪০টি দেশের মোট ৫০০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় বলে তুরস্কের আনাদুলু এজেন্সির খবরে প্রকাশ। মুসলিম বিশ্বের এই গুরুত্বপূর্ণ খবরটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের মিডিয়ায় তেমন প্রচারিত হয়নি। অথচ, একই সময়ে একটি অমুসলিম দেশের প্রেসিডেন্টের কন্যার সন্তান হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে ফলাও করে! যা’হোক, আনাদুলু এজেন্সির প্রতিবেদন মতে, হালাল বলতে সেসব পণ্য ও সেবাকে বুঝায়, যাতে ইসলামিক নির্দেশনা যথাযথ মানা হয়। ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট কাউন্সিলের তথ্য মতে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজার ইসলামী অর্থনীতি, খাবার, ট্যুরিজম, প্রসাধনী, মেডিক্যাল সরঞ্জাম ও টেক্সটাইল ইত্যাদিতে সর্বমোট সাত বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই বাজার ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের অধিক হবে। তন্মধ্যে ইসলামি অর্থনীতি ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলার, খাবার ও পানীয় শিল্প ২ ট্রিলিয়ন ডলার, হালাল পর্যটন ৪০০ বিলিয়ন ডলার, কসমেটিক্স শিল্প ২০০ বিলিয়ন ডলার এবং ফ্যাশন ২৪০ বিলিয়ন ডলার বলে অনুমেয়। বর্তমানে এই হালাল মার্কেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে তুরস্ক। ২০১০ সালে ১৩টি দেশকে নিয়ে স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড মেট্রোলজি ইনস্টিটিউট ফর ইসলামিক কান্ট্রি (এসএমআইআইসি) গঠিত হয়েছে তুরস্কে। এটি ইসলামিক নিয়মনীতি পরিপূর্ণভাবে মেনে একটি কাঠামো গঠনের উদ্দেশে গঠন করা হয়েছে। এসএমআইআইসি এ পর্যন্ত ৫০টি স্ট্যান্ডার্ড প্রকাশ করেছে। যেগুলো তুরস্ক দেখভাল করছে। গত পাঁচ বছরে হালাল মার্কেটে দেশটির হিস্যা তিনগুণ বেড়ে ১৫০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। দেশটির লক্ষ্য স্বল্প দিনের মধ্যেই ৪০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা। অপরদিকে, বর্তমানে হালাল পণ্যের বাজারে সর্বাধিক পণ্য সরবরাহ করছে মালয়েশিয়া। হালাল পণ্যের অন্যতম ভিত্তি হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। স্টেট অব দ্য গ্লোবাল ইসলামিক ইকোনমি রিপোর্ট ২০২০-২১ এর তথ্য মতে, হালাল বাণিজ্যে সামগ্রিক স্কোরে শীর্ষ ১৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ নেই। এমনকি হালাল খাদ্য, ইসলামিক ফাইন্যান্স, হালাল ট্যুরিজম, হালাল ফার্মা ও কসমেটিকসে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ দশে নেই। শুধু হালাল ফ্যাশনে শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম স্থানে আছে। অথচ, হালাল বাণিজ্যে শীর্ষ ১৫টি দেশের মধ্যে অমুসলিম দেশ সিঙ্গাপুর ও শ্রীলংকা রয়েছে। বাংলাদেশ সঠিক সময়ে নীতিগত কৌশল গ্রহণ করতে না পারায় তথা হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন দিতে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন করতে না পারার কারণে বছরে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের হালাল পণ্যের বাজার ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এক দৈনিকে প্রকাশ।
বাংলাদেশ মূলত একটি আমদানিনির্ভর দেশ। গত অর্থবছরে মোট রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৩ বিলিয়ন ডলার, যার ৮২% গার্মেন্ট। বাকি ১৮% হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ, ওষুধ, বাইসাইকেল, প্লাস্টিক পণ্য, হস্তজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য ইত্যাদি। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ- ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, বৈশ্বিক পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ ৩৯তম। অপরদিকে, গত অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান অর্থবছরে প্রায় একই হবে বলে অনুমেয়। তাই দেশের রফতানিতে বৈচিত্র্য এনে গার্মেন্ট নির্ভরতা হ্রাস করার জন্য বিশেষজ্ঞরা বারংবার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বৈশ্বিক মহামন্দা কিংবা যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে যে কোনো সময়ে গার্মেন্ট রফতানি বন্ধ বা হ্রাস পেতে পারে। তাই একক গার্মেন্টনির্ভরতা চরম ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যেই মূল্যস্ফীতি সর্বাধিক হওয়ার কারণে গার্মেন্ট রফতানি হ্রাস পেতে শুরু করেছে প্রধান বাজার ইউরোপ-আমেরিকায়। এটা সহজে দূর হবে না বলে গার্মেন্ট মালিকরা আশংকা করছেন। দ্বিতীয়ত এলডিসি উত্তরণের যাত্রা শুরু হবে ২০২৬ সাল থেকে। তখন থেকে এলডিসির বাণিজ্য সুবিধা তথা জিএসপি বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে গার্মেন্ট রফতানি বড় রকমের সংকটে পড়বে। একই অবস্থা হবে ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রেও। কারণ, তখন পেটেন্ট সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ ইউরোপের জিএসপি প্লাস সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। ইইউ তা দিতেও রাজী আছে কিছু শর্তে। তাদের শর্তের অন্যতম হচ্ছে মানসম্মত কর্ম পরিবেশ ও শ্রমিকের মানোন্নয়ন। এসব করতে গেলে দেশের অনেক কারখানা চরম হুমকির মুখে পড়বে। তবুও তা করতে হবে। না করে উপায় নেই। অর্থাৎ সার্বিক দিক দিয়ে রফতানি খাতের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। পাশাপাশি রফতানি খাতে বৈচিত্র্য আনতে হবে, যার অন্যতম হচ্ছে হালাল পণ্য। হালাল পণ্য রফতানি বৃদ্ধির দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। গত মার্চ মাস থেকে বিএসটিআই কিউআর কোড সংবলিত লাইসেন্স, ছাড়পত্র, ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সনদ ও হালাল সার্টিফিকেট দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। ২০২১ সালেরে ৯ সেপ্টেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি গেজেট জারি করেছে। ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়াজাত দ্রব্য, প্রসাধন সামগ্রী, ওষুধ এবং অন্যান্য পণ্য বা সেবাকে ‘হালাল’ বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং তৎপ্রেক্ষিতে হালাল সনদ নীতিমালা ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। বিএসটিআই-এর আগে ২০০৭ সাল থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন হালাল পণ্যের সনদ দিয়েছে। সংস্থাটি ১১৫টি কোম্পানির অধীনে ৩০০টি পণ্যের সনদ দিয়েছে। কিন্তু ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সনদ অনেক দেশ গ্রহণ করেনি। তাই এই দায়িত্ব বিএসটিআইকে দেওয়া হয়েছে। ফলে হালাল পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা কমেছে। বর্তমানে হালাল পণ্য রফতানি করে বছরে ৮.৫ হাজার কোটি টাকা আয় হচ্ছে দেশের। সরকারের লক্ষ্য আগামী ১০ বছরের মধ্যে আয় ১০ গুণ বৃদ্ধি করা, যার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর এই খাতে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে।
পর্যটন হালাল বাণিজ্যের অংশ। দেশে পর্যটনের আয় বিশ্বের মধ্যে নিম্ন! বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ভ্রমণ ও পর্যটন উন্নয়ন সূচকে-২০২২ মতে, ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান, ১১০তম। দেশের জিডিপিতে ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের অবদান ২.২%। আর কর্মসংস্থানে অবদান ১.৮% (বিশ্বের গড় পর্যটন খাতের অবদান মোট কর্মসংস্থানের ৯.৯%)। অথচ, খবরে প্রকাশ, দেশে মোট ১ হাজার ৫১টি ট্যুরিস্ট স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। আকর্ষণীয় পর্যটন খাতে যেসব উপাদান থাকা দরকার যেমন সমুদ্র, নদী, বন, পাহাড়, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঋতু বৈচিত্র্য সবই রয়েছে বাংলাদেশে। উপরন্তু ৩১০টি নদী ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য হাওর-বাওর-বিল। আছে সুবিশাল সমুদ্রতট এবং বিশ্বের অন্যতম ম্যানগ্রোভবন-সুন্দরবন। অর্থাৎ প্রকৃতির বহুরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর এ দেশে রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। তবুও দিন দিন কমছে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা। দেশীয় পর্যটকের সংখ্যাও আশানুরূপ নয়। গত ১২ নভেম্বর এক দৈনিকে প্রকাশ, দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে প্রতি বছর ভ্রমণ করছেন প্রায় দেড় কোটি পর্যটক। এর মধ্যে বিদেশি পর্যটক মাত্র ৩-৫%। দেশের জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান মাত্র ২.২%। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পর্যটন খাতের অবদান জিডিপির ১০% উপরে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১১০ কোটি পর্যটক প্রতিবছর ভ্রমণ করেন। সামনে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে দেড়শ কোটি হবে এবং তার ৫০% হবে এশিয়ায় বলে ধারণা করছেন পর্যটক বিশেষজ্ঞরা। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিল প্রাক্কলন করেছে, ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের আয়ে চীন ২০৩২ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে। দেশটির বর্তমান অবস্থান দ্বিতীয়, যুক্তরাষ্ট্র প্রথম। ২০৩২ সালের মধ্যে চীনের জিডিপিতে বার্ষিক এ খাতের অবদান ৩ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হতে পারে। এটি ২০২১ সালে ৮১ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার থেকে কয়েক গুণ বেশি। সামগ্রিকভাবে ২০২২-৩২ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপিতে ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের অবদান বার্ষিক গড়ে ৫.৮% হারে বাড়বে এবং ১২.৬ কোটি নতুন কর্মসংস্থান হবে। দেশের পর্যটন খাতের চরম দৈন্য দশার অন্যতম কারণ হচ্ছে, মানসম্মত সেবা, যোগাযোগ, নিরাপত্তা, দোভাষী, পরিবহন ইত্যাদির প্রচণ্ড অভাব। এছাড়া, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি তো রয়েছেই। সর্বোপরি পর্যটন স্পটে নারী-পুরুষ একত্রে দেখলেই জিজ্ঞাসা করা হয় সম্পর্ক কী? প্রশ্নোত্তরে স্বামী-স্ত্রী বলা হলে বিবাহের কাবিননামা দেখতে চায় পুলিশ। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী কি এক সাথে ঘুরতে গেলে সাথে বিবাহের কাবিননামা নিয়ে যায় বিশ্বের কোথাও? যায় না। তবুও এ নজিরবিহীন কাণ্ড করা হয় এ দেশে সামান্য ৫০-১০০ টাকার লোভে! আর চাঁদাবাজি ও নিরাপত্তাহীনতার সীমা-পরিসীমা নেই। তাই দেশের পর্যটন খাতের উন্নতি হচ্ছে না আশানুরূপ। অথচ, একজন পর্যটকের কারণে ১১ জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়। তাই দেশের বেকারত্ব ও দারিদ্র হ্রাস করার জন্য পর্যটকের সংখ্যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ন্যায় করার ব্যবস্থা করা আবশ্যক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া সম্প্রতি এক দৈনিককে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পর্যটন শিল্পকে তাদের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে রূপান্তর করলেও বাংলাদেশ সেই তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে আছে। সঠিক পরিকল্পনা ও প্রচারণার অভাব এই সম্ভাবনার খাতকে পিছিয়ে দিচ্ছে। বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু বিদেশি পর্যটকদের যে চাহিদা তা পূরণ করার মতো মন মানসিকতা আমাদের নেই। সেই পরিবেশ বাংলাদেশে এখনো তৈরি হয়নি। তাই বিদেশি পর্যটক কম আসেন। তাই আমাদের উদারনীতি অবলম্বন করতে হবে।
দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ আর্থিক, রফতানি, বেকারত্ব, দারিদ্র ইত্যাদি সার্বিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে হালাল পণ্য রফতানি বৃদ্ধি করার দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সে সুযোগ দেশে রয়েছে। এ দায়িত্ব মূলত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের। অবশ্য হালাল পণ্য রফতানি বৃদ্ধি করার জন্য সরকারিভাবে পূর্ণ সহযোগিতা করা তথা সব বাধা দূর, অবকাঠামোগত সুবিধা ও স্বল্প সুদে প্রয়োজনীয় ব্যাংক ঋণ এবং প্রণোদনা প্রয়োজন। তাহলে উদ্যোক্তারা ব্যাপক উৎসাহী হবে। দেশের রফতানির ক্ষেত্রে নব দিগন্তের সূচনা ঘটবে। তাতে দেশের ব্যাপক কল্যাণ হবে। উপরন্তু পর্যটনের ক্ষেত্রে সব বাধা-বিপত্তি দূর, উদারনীতি গ্রহণ এবং সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে। তাহলে এ খাতে আয় ও কর্মসংস্থান অনেক বৃদ্ধি পাবে। স্মরণীয় যে, দেশে হালাল পণ্যের বাজার যত সম্প্রসারিত হবে, ভেজাল, নকল ও মানহীন পণ্যের দৌরাত্ম্য তত কমবে, মানুষের কল্যাণ হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
sardarsiraj1955@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন