শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

বাড়ন্ত শিশুদের ব্যথা

ডাঃ আহাদ আদনান | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

ছোট শিশু ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। বয়সে, লম্বায়, বুদ্ধিতে, ওজনে পরিবর্তন আসতে থাকে। বাড়ন্ত বয়সে এই শিশুরা ছোটাছুটি করে, খেলাধুলা করে, টুকটাক ব্যথা পায়। রাতে মা’কে বলে, পা ব্যথা করছে, কিংবা কামড়াচ্ছে, টিপে দাও। একটুপরেই হয়ত ঘুমিয়ে পড়ে। পরেরদিন সকালে আবার দিব্যি সুস্থ। বাড়ন্ত বয়সের এই ব্যথাকে আমরা বলি ‘গ্রোয়িং পেইন’।

একটা বয়সে এই ব্যথা অনুভব করেননি, এমন কাওকে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বেশি হয় চার থেকে বারো বছর বয়সি বাচ্চাদের। এই ব্যথা দুই দিকের সামনের উরু, পায়ের মাংসপেশির সামনের অথবা পিছনের দিকে হয়ে থাকে। সাথে হয়ত হাতের মাংসপেশিতেও থাকতে পারে। কিন্তু কখনোই পা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র হাতে ব্যথা করবে না। আবার ডান অথবা বাম, একদিকে মাত্র ব্যথা ‘গ্রোয়িং পেইন’ নয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, গিরা বা অস্থিসন্ধি, পিঠে বা কুঁচকিতে ব্যথা হলে অন্য কোন সমস্যা নির্দেশ করে। (উল্লেখ করা যায়, বর্তমানে স্কুল পড়ুয়া শিশুরা বইয়ের ব্যাগের বাড়তি ওজন বহন করতে না পেরে পিঠে, কোমরে, ঘাড়ে ব্যথা নিয়ে আমাদের কাছে আসে। এটা অবশ্যই ‘নিরীহ’ গ্রোয়িং পেইন নয়।) অনেক বাচ্চা গ্রোয়িং পেইনে ঘুম থেকে জেগে উঠে যায়, কয়েক মিনিট থেকে ঘণ্টা খানেক কষ্ট পায়, একটু পা টিপে দিলে ঘুমিয়েও যায়। তবে পরের সকালে এই ব্যথা থাকে না।

গ্রোয়িং পেইন হলে পরীক্ষায় শিশুকে অন্য সবক্ষেত্রে স্বাভাবিক পাওয়া যায়। হাঁটার ধরন বা গেইট ঠিক থাকে। একটু পা টিপে দেয়া বা মাসাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। খুব ব্যথা হলে প্যারাসিটামল লাগতে পারে। ক্যালসিয়াম ওষুধের কোন ভূমিকা নেই। তবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাবা মাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলা আর আশ্বস্ত করা।

আইসিএমএইচ, মাতুয়াইল, ঢাকা।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন