আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর বিএনপির পূর্বঘোষিত ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশ হচ্ছে। গতকাল বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ৭ ডিসেম্বর সঙ্ঘাত-সংঘর্ষ, তিনশ’ নেতাকর্মী গ্রেফতার এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝোলানোর ঘটনায় সমাবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। কিন্তু বিএনপি দৃঢ়তার সঙ্গে সমবেশ করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহল ইতোমধ্যেই সঙ্ঘাত এড়িয়ে সমাবেশের অধিকার দেয়ার আহবান জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অপেক্ষা করুন ঢাকায় যা ঘটবে তা আপনারা নিজেরা স্বচক্ষে দেখবেন। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, আমরা আামাদের সমাবেশ অনুষ্ঠান করবোই। এর জন্য চেয়েছিলাম নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। এখন সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে এ সমাবেশটাকে শান্তিপূর্ণভাবে করার ব্যবস্থা করা। আমরা অবশ্যই আমাদের সমাবেশস্থলে যাবো। আর জনগণ কী করবে সেটা জনগণই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
তবে গতকাল রাতে ডিএমপি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার অনড় অবস্থান থেকে সরে আসে। বৈঠক শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আমরা ২ ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, আমাদের কার্যালয় খুলে দিতে হবে। তিনি বলেন, শনিবারের সমাবেশের ভেন্যুর জন্য আমরা আরামবাগের কথা বলেছি, তারা রাজি হয়নি। সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুলের কথা বলেছি, সেটাও তারা রাজি হয়নি। আমরা কমলাপুর স্টেডিয়ামের কথাও বলেছি। তারা প্রস্তাব করেছেন মিরপুরের সরকারি বাংলা কলেজ মাঠ। আমরা দুটি ভেন্যু পরিদর্শন করব। আমাদের কাছে যেটি ভালো মনে হবে সেটি তাদেরকে জানাবো।
এসময় প্রতিনিধি দলে ছিলেন- অ্যাড. এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাড. আহমেদ আজম খান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বিএনপির সমাবেশ নিয়ে এখনো (রাত ১০টা পর্যন্ত) কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিএনপি সমাবেশের জন্য কমলাপুর মাঠের কথা প্রস্তাব করেছে, অন্যদিকে ডিএমপি মিরপুর বাংলা কলেজের মাঠ প্রস্তাব করেছে। তারা তাদের প্রস্তাব দিয়েছে, আমরা আমাদেরটা দিয়েছি। আলোচনা চলছে এবং সিদ্ধান্ত হলেই আমরা আপনাদের জানাবো।
এদিকে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে রাজধানী ঢাকায়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত বুধবার নয়াপল্টনের সামনে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষে একজন নিহত, তিন শতাধিক আহত ও দুই দিনে ৭শ’ ৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই নয়াপল্টন এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। গতকাল দিনভর ওই সড়ক বন্ধও রাখা হয় সন্ধ্যা পর্যন্ত। বন্ধ ছিল ওই সড়কে থাকা সকল দোকানপাট, অলি-গলি, ব্যাংক-বীমা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও।
এদিকে সমাবেশের স্থান নিয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে এখনো কোন সুরাহা না হলেও নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার বিষয়ে অনড় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি। নয়াপল্টন সড়ক পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে, সেখানে কীভাবে সমাবেশ করবেন জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা ২২ আগস্টের আগে অনেকেই বলেছেন, বিএনপি কিছুই পারে না। ২২ তারিখের পরে ৯টি বিভাগীয় গণসমাবেশ হয়েছে না? আপনারা নিজেরাই দেখেছেন জনগণ কীভাবে উঠে দাঁড়াচ্ছে? একটা কথা আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্যে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। সেই গণতন্ত্র আজকে পুরোপুরিভাবে এরা লুট করে নিয়ে চলে গেছে। সেটাকে ফিরে পাওয়ার জন্য জনগণ উঠে দাঁড়াচ্ছে, নদী সাঁতরিয়ে, ভেলা দিয়ে নদী পার হচ্ছে, ১০০ মাইল সাইকেলে, হেঁটে, চিড়া-মুড়ি-গুড় নিয়ে সমাবেশগুলোতে উপস্থিত হচ্ছে।
নয়াপল্টন সড়ক পুলিশের নিয়ন্ত্রণে : সংঘর্ষের ঘটনার পর গত বুধবার থেকেই বন্ধ রাখায় ফকিরাপুল থেকে নয়াপল্টনমুখী সড়কটি। ওইদিন রাত থেকেই সড়কের দুই প্রান্তে ব্যারিকেড বসিয়ে অবস্থান নেয় পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। ওই পথে কাউকে প্রবেশ করতেও দেয়া হয়নি। গতকাল সকাল থেকে দেখা যায় একই চিত্র। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি মহাসচিব নাইটিঙ্গেল মোড় দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা প্রদান করেন। পরে তিনি সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে চলে যান। এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের সীমিত আকারে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়। ওই সড়কে দেখা যায় কিছুদূর পরপরই পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন এবং টহল দিচ্ছেন। সড়কের দুইপাশে থাকা ১৩টি গলিপথের সবকটি বন্ধ রাখা হয়। ওইসব পথ দিয়ে কাউকে প্রবেশ বা বের হতে দেয়া হয়নি। এছাড়া সড়কের দুইপাশে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমাসহ সকল কিছুই বন্ধ রাখা হয়। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল খোলা থাকলেও সেখানে মানুষের যাতায়াত ছিল না বললেই চলে। আর কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের নয়াপল্টনমুখী গেটও বন্ধ রাখা হয়। বেলা আড়াইটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের অংশটি ঘিরে ফেলা হয়, ক্রাইম সিনের সদস্যরা সেখান থেকে আলামত সংগ্রহ করেন। একই সময়ে ফকিরাপুল থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে পুলিশ। পরে সন্ধ্যার দিকে ওই সড়ক খুলে দেয়া হয়।
নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ : বুধবার পুলিশের সাথে সংঘর্ষ এবং বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আটক হওয়ার পরও গতকাল সকাল থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীরা নাইটিঙ্গেল মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা পুলিশের সামনেই নানা সেøাগান দেন। কিছুক্ষণ পরপরই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আবার পুলিশ সরে গেলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় সেখান থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়।
ভোলা থেকে ঢাকায় আসা মধ্যবয়সী মিজানুর রহমান বলেন, তিনি ঢাকায় খেলা দেখতে এসেছেন। কিসের খেলা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের যে খেলার কথা বলেছেন সেটাই দেখতে ঢাকা এসেছেন। রাজিব নামে যুবদলের এক নেতা বলেন, ১০ তারিখ সমাবেশ উপলক্ষে তিনি বরিশাল থেকে এসেছেন। ঢাকার সমাবেশ সফল করতে তারা হামলা, মামলা, গ্রেফতার কোনো কিছুইকে পরোয়া না করেই অংশগ্রহণ করবেন।
সিদ্দিক নামে আরেক নেতা বলেন, বুধবার এতো নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের পরও তারা মনোবল হারাননি। তিনি বিশ্বাস করেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ হবে এবং সরকারের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হবে।
ঢাকার প্রবেশ পথে তল্লাশি : সরেজমিনে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এসব সড়কে চৌকি বসিয়ে পথচারীসহ যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করা হয়, কী কারণে ঢাকায় আসছে সেসব বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এদিকে সার্বিক বিষয়ে গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১০ তারিখ আমাদের বিভাগীয় সমাবেশের শেষ কর্মসূচি। এ সমাবেশ থেকে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো। আমাদের যেসব দাবি রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। এসব দাবি নিয়ে আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবো। সেখান থেকে আমাদের আন্দোলন শুরু হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যুগপৎভাবে আমাদের এই আন্দোলন থাকবে।
পুলিশি অভিযান কর্তৃত্ববাদের বহিঃপ্রকাশ : বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলা, গুলির ঘটনাকে জঘন্য, ন্যাক্কারজনক, বর্বরোচিত উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটি সরকারের ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ববাদের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এই ঘটনা প্রমাণ করে বর্তমান সরকার গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। তারা বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবার সাংবিধানিক অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। যা গণতন্ত্র, রাজনীতির জন্য অশনি সঙ্কেত। পুলিশের বর্বরোচিত, কাপুরষোচিত হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দার ভাষা আমাদের নেই। বুধবারের ঘটনা গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়ার শামীল। আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে গণআন্দোলনে পতনের ভয়ে ভীত হয়ে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সরকারকে অগণতান্ত্রিক পথ থেকে সরে আসার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব। একই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পুলিশ প্রত্যাহার এবং ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের প্রতিবন্ধকতা দূর করার দাবিও জানান তিনি।
পুলিশের বোমা বিস্ফোরণ-উদ্ধার নাটক : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের অসংখ্য নেতা কর্মীকে পুলিশ নয়াপল্টন থেকে গ্রেফতার করেছে। অফিসের কর্মচারীদেরও তারা গ্রেফতার করেছে। এরপর পুলিশ নিজেদের রেখে আসা বোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরণ নামের নাটক সাজায় ও মিথ্যাচার করে। আমি যখন (বুধবার সন্ধ্যায়) বিএনপি অফিসে যেতে চাই সেখানে তারা আমাকে ঢুকতে দেয়নি। আমার সামনেই পুলিশ সেখানে অসংখ্য বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। শুধু পুলিশ নয়, পুলিশের সাথে সোয়াত বাহিনী ও সাথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ছিল। যে গুলি করেছে তার আলোকচিত্র এসেছে গণমাধ্যমে, আর্জেন্টিনার ড্রেস পরে গুলি করছে।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অভিযানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন : মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ দাবি করছে যে, বিএনপি কার্যালয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া গেছে এবং অনেক পাওয়া গেছে, কয়েক বস্তা নাকি পাওয়া গেছে। তারা উদ্ধারের তল্লাশি চালানোর জন্য ক্রাইম সিন ঘোষণা করেছে নাকি আমাদের অফিসসহ এলাকাটিকে। অথচ আইন হচ্ছে কোনো বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালাতে যদি হয় সেই বাড়ির মালিককে সঙ্গে রাখতে হবে। নিরপেক্ষ সাক্ষী থাকতে হবে। সাধারণত এ ধরনের তল্লাশি চালাতে হলে সার্চ ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে হয়। এক্ষেত্রে কিছুই করা হয়নি। উপরন্তু আমাদের কার্যালয়ে ঢুকতে না দিয়ে পুলিশ চার ঘণ্টা বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে ভাঙচুর করেছে, বোমা রেখেছে, এসব বিস্ফোরক নাটক তারা তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, পুলিশ বিএনপি অফিসে অযাচিতভাবে প্রবেশ করে নিচতলা থেকে ৬ তলা পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন কক্ষ তছনছ করেছে। এমনকি দলের চেয়ারপারসনের কক্ষ, মহাসচিবের কক্ষ, অফিস কক্ষের দরজা তারা অন্যায়ভাবে ভেঙে প্রবেশ করে এবং সকল আসবাবপত্র, ফাইল, গুরুত্বপূর্ণ নথি তছনছ করে। তারা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক এমনকি দলীয় সদস্যদের প্রদেয় মাসিক চাঁদার টাকা, ব্যাংকের চেক বই, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্তসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে গেছে।
১৬০ বস্তা চাল উদ্ধার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ঢাকা বিভাগের সমাবেশ। বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা আসবেন সমাবেশে উপস্থিত হতে। ওই সমাবেশে যারা আসবেন তাদের জন্য খিচুড়ি-টিচুড়ি রান্নার করার জন্য এটা হতে পারে। তবে ওইখানে ১৬০ বস্তা চাল রাখার কোনো জায়গাই নেই, এটা পুরোপুরি মিথ্যা, এ টোটালি লাই। আর দুই লাখ বোতল রাখারও জায়গা সেখানে নেই।
আওয়ামী লীগ একটা সন্ত্রাসী দল : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে তারা যে বলেছেন, পাড়া-মহল্লায় পাহারা দেবে- এরকম বিষয়গুলো খুব পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, তারা পুরোপুরিভাবে একটা সন্ত্রাসী দল। গণতন্ত্রের যে মূল কথা- সহনশীলতা এবং বিরোধীদলকে রাজনীতি করতে দেয়া যেটা আমার সংবিধানসম্মত অধিকার, সেগুলোতে তারা বিশ্বাস করে না। তারা যে ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে দেশ পরিচালনা করছে সেটা আরো স্পষ্ট হয়। ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) সাহেবের কথা থেকে এবং ঢাকার ঘটনা থেকে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, এটা একটা পরিকল্পিত প্লট, যে প্লট তৈরি করে তারা ১০ ডিসেম্বর আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে পÐ করতে চায়- এটা আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি। আওয়ামী লীগ যে দল তার দুইটা বিষয় আছে- একটা হচ্ছে সন্ত্রাস আরেকটা হচ্ছে দুর্নীতি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, এক মাস যাবৎ আওয়ামী লীগ অনেকগুলো প্রোগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগ যে সমাবেশ করেছে তার স্থান কে নির্ধারণ করেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি নাকি পুলিশ? আওয়ামী লীগের সমাবেশের স্থান আওয়ামী লীগ ঠিক করেছে, বিএনপির প্রোগ্রাম বিএনপি ঠিক করবে, সেটা সরকার বা পুলিশ কেন? এসময় সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, নাজিম উদ্দিন আলম, জহির উদ্দিন স্বপন, ফাহিমা মুন্নী, জিএম সিরাজ, আলী নেওয়াজ খৈয়াম, সুলতান মো. বাবু, আবুল হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন