পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরন, ৭টি অবিষ্ফোরিত ককটেল উদ্ধার ঘটনায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৫০ নেতা-কর্মীর নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মো: ইউসুফ আলী শুক্রবার (৯ডিসেম্বর) রাতে কলাপাড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
আওয়ামীলীগ সূত্র জানায়, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াত জোট এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে ৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরন করে আতংক ছড়ায়। এছাড়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে অফিসের জ্বানালার কাঁচ ভাঙচুর সহ লাঠি সোটা দিয়ে পিটিয়ে অফিসে ভাঙচুর চালায়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭টি অবিষ্ফোরিত ককটেল, বিস্ফেরিত ককটেল বোমার অংশ বিশেষ, লাঠি সোটা ও ইট পাটকেল আলামত হিসেবে উদ্ধার করে।
সূত্রটি আরও জানায়, বিএনপি ও জামায়াত জোট এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পরস্পর যোগসাজশে একে অন্যের সহযোগীতায় মহিপুর, কলাপাড়া আওয়ামীলীগের অফিস এলাকায় বিদ্বেষপূর্ন ভাবে প্রানহানী ও অফিসের ক্ষতিসাধন করার জন্য উক্ত ঘটনা ঘটায়।
কলাপাড়া থানার ওসি মো: জসিম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৭টি অবিষ্ফোরিত ককটেল, বিস্ফেরিত ককটেল বোমার অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। আসামী শনাক্তকরন প্রক্রিয়া সহ গ্রেফতার অভিযান চলছে।
এদিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দায়েরের পর কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার গনমাধ্যমকে বলেন, ’বিএনপি যাতে সরকার পতনের আন্দোলনে অংশ নিতে না পারে এজন্য সারাদেশে সরকার বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের নামে একের পর এক গায়েবী মামলা দিচ্ছে। গত ১৪ বছরে বিএনপি’র কেউ আ’লীগ অফিসের কাছেও যায়নি, ভাঙচুর তো দূরের কথা।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন