সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

এদেশে মেরুদণ্ডহীন বানরের শিক্ষা চালু হতে দেয়া হবে না

সিলেটে মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী

বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

 বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেছেন, এদেশে মেরুদণ্ডহীন বানরের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হতে দেয়া হবেনা। আজকের সময়ে দুর্ভিক্ষ হলো মানবতা। যতদিন যাচ্ছে আদব, তমিজ কমে যাচ্ছে। মায়া মহব্বত কমছে। আগামী বছর যে বই পড়ানোর জন্য ছাপিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে তাতে ধর্মীয় বিরোধী, মানবতা বিরোধী ও ইসলামী তাহজীব তামাদ্দুন বিরোধী সিলেবাস দিয়ে তৈরি করা। এগুলো যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসে, আর কয়েক বছর শিক্ষার্থীরা পড়ে তাহলে মানুষের বাচ্চা খুঁজে পাওয়া যাবে না। পাওয়া যাবে লেজ ছাড়া বানরের বাচ্চা। আমি ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে বলেছি, এই শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হলে পাঁচটি সংক্রমন ব্যাধি সৃষ্টি হবে, মেরুদণ্ডহীন, অকর্মণ্য, অপদার্থ ও অমানুষ।

মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী গতকাল রোববার স্থানীয় গোয়ালাবাজারে সিলেটের ওসমানীনগরে জালালিয়া আল কুরআন গবেষণা পরিষদের তালিম তরবিয়াত মাহফিলে তিনি বিশেষ অতিথি বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমি যে আন্দোলনের জন্য ডাক দিয়েছি, তা শুধু মাদরাসার শিক্ষার জন্য নয়, আমি গবেষণা করে দেখেছি, এই বই যখন স্কুলে যাবে, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমান সন্তানেরা পড়বে। এদের জিম্মাদারী আমাদের সকলের উপর রয়েছে। আমি এই শিক্ষা কারিকুলামের বিরুদ্ধাচারন করছি, করবো এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত করবো। এ আন্দোলন শুধু মাদরাসা বাঁচানোর জন্য নয়, এ জাতিকে অন্ধকার থেকে বাঁচানোর জন্য এ চেষ্টা করছি। আমি দেখেছি, এই বইগুলো মানুষের দেমাগ জেহেনের জন্য উপকারী নয়। বাস্তব ইতিহাস যেখানে পড়ানো যাচ্ছে না সেখানে পৌরানিক কাহিনী ও ভূতের গল্প পড়িয়ে কোন লাভ হবে না। এ শিক্ষা ব্যবস্থা মেধা নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুনা। যারা এই জাতিকে উন্নত দেখতে চায় না তারাই পরিকল্পিতভাবে এই বই আমাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। আমি বলে আসছি দেশ প্রেমিক মানুষ দিয়ে, লেখক দিয়ে সিলেবাস তৈরি করুন।

মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, আজকে যারা এই শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বাক্ষর করতেছে, তাদের অনেকের সন্তানও নেই। সন্তান যার নাই সে সন্তানের কদর কি বুঝবে? যারা মা বাবা হতে পারে নাই, তাদের কাছে সন্তানের কদর আছে? যারা বিদেশি এজেন্ট তারা এদেশের জাতি সত্ত্বা ঠিকে থাকুক তারা তা পছন্দ করে না। এটা নাস্তিক বানানোর সুক্ষ পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। যাতে এদেশে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ না হয় এবং জাতি মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, স্বনির্ভর না হতে পারে এ জন্য এ শিক্ষা ব্যবস্থা। এই শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি গভীর চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।

পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ছরওয়ারে জাহানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছাদিকুর রহমানের শিবলী ও সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মতিন গজনভীর যৌত পরিচালনায় মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে তালিম তরবিয়াত প্রধান করেন আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী বড় ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী।

এ সময় ফুলতলীর পীর ছাহেব বলেন, আপনারা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। দুঃখী মানুষের কাছে এই শীতে শীতবস্ত্র নিয়ে যাবেন। মা বাবার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জন্য দোয়া করবেন। জীবিত পিতামাতার খেদমত করবেন।

মাহফিলে বয়ান পেশ করেন, মাওলানা কাজী রফিক আহমদ, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা নোমান আহমদ, তালামীযে ইসরামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা সুলতান আহমদ, মাওলানা হাবিবুর রহমান সিদ্দীকি। উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা আবু ছালেহ আল মাহমুদ, মাওলানা আসকর আলী, মাওলানা আখতার আলী মাওলানা মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন