বিএনপির মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ‘অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র’কে সহ্য করবে না বাংলাদেশ। বরদাস্ত করা হবে না ‘বিদেশি কারও হস্তক্ষেপ’ও।
বাংলাদেশে বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশানালিস্ট পার্টি তথা বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং অন্যান্য দাবিতে শনিবার বিএনপি একটি মহাসমাবেশের ডাক দেয়। তাতে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। বিএনপির সমাবেশের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোড়ন শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে বিএনপির মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে সরকারের বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ‘অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র’কে সহ্য করবে না বাংলাদেশ। বরদাস্ত করা হবে না ‘বিদেশি কারও হস্তক্ষেপ’ও। শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে বদ্ধ পরিকর বলেও দাবি সরকারের তরফে।
রোববার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম। সেখানেই বিএনপির সভার প্রসঙ্গে তারা সরকারের অবস্থানের কথা জানান। আগামী বছর বাংলাদেশে নির্বাচন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ ‘বাইরের কোনও চাপের কাছে’ মাথা নত করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার।
বিএনপি বাংলাদেশে দীর্ঘ কাল পর সমাবেশের ডাক দেয় শনিবার। এই সমাবেশের আগে কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে পুলিশ আটক করে বলে অভিযোগ। বিএনপির সদর দফতরের বাইরে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে কর্মীদের সংঘর্ষও হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক জনের মৃত্যুও হয় সমাবেশের আগে।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার সমাবেশে দু’টি মূল দাবি নিয়ে জোর সওয়াল করে বিএনপি। তারা সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে। সেই সঙ্গে বিএনপি নেতৃত্ব চায়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লিগ জানিয়ে দিয়েছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে তারা আলোচনা করতেও রাজি নয়। কারণ তা বাংলাদেশের সাংবিধানিক কাঠামোর পরিপন্থী। তা ছাড়া, সমাবেশে দাবি তুলে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ঘটানোও সম্ভব নয় বলে মনে করে হাসিনার দল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন